১ . সকল ধর্মের লোক বাংলা নববর্ষের উৎসবে যোগ দেয় কেন?
উত্তরঃ- পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় উৎসব। সকল ধর্মাবলম্বীদেরই নিজস্ব কিছু উৎসব রয়েছে। যেমন- মুসলমানের ঈদ, হিন্দুদের পূজা প্রভৃতি। তবে বাংলা নববর্ষ শুধু হিন্দুর বা মুসলমানের কিংবা বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টানের একার নয়-এ উৎসব সমগ্র বাঙালির। বাংলা নবর্ষের উৎসবে যোগ দিতে কোনো বিধিনিষেধ নেই, কেননা এটি জাতীয় উৎসব। এ জন্যই বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখের উৎসবে সকল ধর্মের লোক যোগদান করে।
২. বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে কীভাবে তুলে ধরা হয়েছে?- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ- বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে তুলে ধরা হয়েছে।বাঙালির জাতীয় উৎসব হচ্ছে পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ। এ নববর্ষকে কেন্দ্র করে কোথাও কোথাও বর্ণাঢ্য মেলা বসে। এ মেলায় কৃষিজাত দ্রব্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, লোকশিল্পজাত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন আনন্দ-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বাংলা নববর্ষের উৎসবে সবাই নিজেদের ঐতিহ্যগত পোশাক পরিধান করে, খেলাধুলা করে, আর এভাবেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে তুলে ধরা হয়েছে।
৩. লেখক বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রা যোগ করতে বলেছেন কেন?
উত্তরঃ- ঐতিহ্য সংহত ও দৃঢ় করতে লেখক বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রা যোগ করতে বলেছেন। বাংলা নববর্ষ বাঙালির সুপ্রাচীন ও গৌরবমণ্ডিত উৎসব। অথচ সেই ঐতিহ্যের মধ্যে আজ বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের একটি বড় অংশ প্রবেশ করছে, যা বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যকে অবমাননা করছে। এ জন্য বাংলা নববর্ষের মধ্যে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে। আর তা হচ্ছে বাঙালির যে সুপ্রাচীন ঐতিহ্য, তাকে আরো বেগবান করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন মাত্রিকতা যোগ, করে বাংলা নববর্ষের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে।