আস্ক টু আন্স প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগতম, সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রশ্ন করুন।।
0 টি ভোট
45 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে করেছেন (525 পয়েন্ট)

الم এগুলো কী?

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (525 পয়েন্ট)

উদ্দীপকঃ-


=> কামাল, আমাল এবং শামীম তিন ভাই। কামাল সদা সত্য কথা বলে এবং ইসলামি বিধান মেনে চলে। আর জামাল অসহ্য কথা বলে এবং ইসলাম পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকে। শামীম যখন কামাল এর সাথে থাকে তখন ইসলামি বিধান মেনে চলে কিন্তু যখন জামাল এর সাথে থাকে তখন বলে ইসলামি বিধান মানার প্রয়োজন নেই।


ক. الم এগুলো কী?

خَتَمَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَعَلَى سَمِعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ *খ. আয়াতের মর্মাথ লেখ।

গ. শামীম এর কর্মকাণ্ডে সুরা বাকারায় বর্ণিত কোন চরিত্র ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. কামালের চরিত্র বিশ্লেষণপূর্বক আখিরাতে তার অবস্থান নিরুপণ কর। 


প্রশ্নের উত্তরঃ-

ক) এগুলো হচ্ছে- হুরুফুল মুকাত্তায়াত বা বিচ্ছিন্ন বর্ণ।


খ) আলোচ্য আল্লাহ তায়ালার বাণীটিতে এক শ্রেণির কাফিরদের পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।

বাণীটিতে বলা হয়েছে, 'আল্লাহ তাদের অন্তরসমূহ ও শ্রবণশক্তির ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন।' অর্থাৎ কাফিরদের অন্তরে ও কানে বাইরের কোনো বস্তু প্রবেশের পথ বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে তারা প্রকৃত সত্য ও যথার্থ সাফল্য লাভের বিষয় বুঝতে পারে না। এছাড়া শাশ্বত সত্য শুনতেও তারা অক্ষম হয়। এ কারণে তারা চিরস্থায়ী ধ্বংসের মধ্যে পতিত হয়।


গ) শামীম এর কর্মকাণ্ডে সুরা বাকারায় বর্ণিত মুনাফিকের চরিত্র ফুটে উঠেছে।

আল কুরআনের সুরা আল বাকারার ২য় বুকুর আয়াতসমূহ মুনাফিকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ উন্মোচন করে। যারা মুখে ইমান আনে এবং নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দেয় কিন্তু অন্তরে আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস পোষণ করে, তারাই মুনাফিক। তারা মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতারণা করে। উদ্দীপকে বর্ণিত শামীম সবসময় অসত্য কথা বলে এবং ইসলাম পরিপন্থি কাজ করে। সুরা বাকারার ১০নং আয়াতে মুনাফিকদের মিথ্যাবাদী বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা যখনই কথা বলে মিথ্যা বলে। প্রকৃতপক্ষে, মুনাফিকরা সর্বদা ইসলাম পরিপন্থিস্থ কাজ করে থাকে। তারা মুখে ইমানের দাবি করে কিন্তু তাদের অন্তর পরিপূর্ণ থাকে নিফাক, কুফর, শিরক, পরশ্রীকাতরতা, হিংসা-বিদ্বেষ প্রভৃতি ইসলাম বিরোধী মানসিক ব্যাধিতে। শামীম এর মধ্যেও উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সুতরাং সুরা বাকারার বর্ণনার আলোকে শামীম একজন মুনাফিক।


ঘ) কুরআনের ভাষায় কামাল একজন মুত্তাকি। সৎকর্ম সম্পাদনের জন্য আখিরাতে তিনি কল্যাণ ও সাফল্য লাভ করবেন। মুত্তাকি এমন ব্যক্তি যার মধ্যে তাকওয়া রয়েছে। মুত্তাকি ব্যক্তি অদৃশ্য বিষয়সমূহে ইমান পোষণ করেন, নিয়মিত সালাত আদায় করেন, আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করেন এবং পরকালে বিশ্বাস করেন। পরকালীন জীবনে ক্ষতির কারণ হতে পারে এয়ন কাজ ও বিষয় থেকে তিনি নিজেকে বিরত রাখেন। কামালের মধ্যেও এ গুণগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে।কামাল সদা সত্য কথা বলেন এবং ইসলামি বিধান অনুসারে জীবনযাপন করেন। তার এ কাজের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে গণ্য হবেন। মন্দ কাজ পরিহার করার কারণে মানুষের কাছেও তিনি প্রিয় হবেন। এছাড়া কামাল অদৃশ্য বিষয়সমূহে বিশ্বাস করেন, আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেন এবং কবর, কিয়ামত, পুলসিরাত, জান্নাত এবং জাহান্নাম ইত্যাদিতেও বিশ্বাস করেন। এ সব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি একজন মুস্তাকি ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। পরকালে বিশ্বাস করার ফলে তিনি দুনিয়াতে সব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকেন। মুমিন হওয়ার জন্য ইসলামের সব বিষয়ে তিনি আমল করেন। এর ফলে দুনিয়াতে মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করার পাশাপাশি তিনি পরকালেও আল্লাহর অশেষ রহমতে জান্নাত লাভ করবেন।

পরিশেষে বলা যায় যে, মুত্তাকি ব্যক্তির আমল তাকে সুদূরপ্রসারী সুফল দান করে। যার ফলে তিনি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানেই আল্লাহর রহমত পেয়ে থাকেন।


উদ্দীপকঃ-

=> মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খতিব সাহেব বললেন-সম্মানিত ভাইয়েরা! আমরা প্রত্যেকেই আদম এর সন্তান। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। আর আদম (আ:) ছিলেন এ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি। তাই তার সন্তান হিসেবে আমাদের উপর দায়িত্ব এ পৃথিবীতে আল্লাহর বাণী বাস্তবায়ন করা। এর পর তিনি পবিত্র কুরআনের নিম্মোক্ত বাণীটি তেলাওয়াত করলেন-


وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً


খ. উদ্দীপকের বর্ণিত আয়াতের অনুবাদ কর।

গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত আয়াত থেকে তিনটি শিক্ষা খুঁজে বের কর।

ঘ. খতিব সাহেব মুসল্লিদেরকে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে কোন ধরনের দায়িত্ব পালনের ইঙ্গিত দিলেন? সে সম্পর্কে তোমার মতামত তুলে ধর।


প্রশ্নের উত্তরঃ-


 ক) শব্দের অর্থ প্রতিনিধি।


খ) উদ্দীপকে সুরা আল বাকারার ৪র্থ বুকুর ৩০নং আয়াতের বর্ণনা এসেছে।

অনুবাদ: আর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন, নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে খলিফা বা প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই।


গ) উদ্দীপকের আয়াতটি সুরা আল বাকারা থেকে চয়ন করা হয়েছে। সুরা আল-বাকারা কুরআন মাজিদের সর্ববৃহৎ সুরা। কেবল কলেবরে নয়; মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বেও এ সুরা বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। বিষয় বৈচিত্র্যে এ সুরা শীর্ষস্থানীয়। মুমিন জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিধানের পাশাপাশি সুরাটিতে অতীত ইতিহাসেরও কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি কুরআনের দ্বিতীয় সুরা। এতে ৪০টি রুকু এবং ২৮৬টি বরকতপূর্ণ ও বিজ্ঞানময় আয়াত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উদ্দীপকে এ সুরারই ইঙ্গিত বহন করে।

উদ্দীপকের উল্লেখিত আয়াতটিকে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতি সৃষ্টির প্রারম্ভে ফেরেশতাদের কাছে যে প্রস্তাবনা পেশ করেছিলেন সে বিষয় ফুটে উঠেছে। এ আয়াতটিতে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা নিহিত আছে। প্রথমত আল্লাহ তায়ালা তাঁর দয়া ও অনুকম্পা হিসেবে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আদি অন্তহীন, অপরিসীম ক্ষমতার মালিক এবং শাশ্বত সত্তা। যখন কেউ ছিল না, কিছু ছিল না, তখনও তিনি ছিলেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে, "আমি গুপ্ত ছিলাম। আমার আত্মপ্রকাশের ইচ্ছে হলো। এজন্য আমি মানুষ সৃষ্টি করলাম।" প্রকৃতই আল্লাহ তাঁর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও সীমাহীন দয়া প্রকাশের মাধ্যম হিসেবেই মানুষ সৃষ্টি করেন। দ্বিতীয়ত, আল্লাহর মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কেবল তাসবিহ তাহলিলই পাঠ করা নয় বরং তিনি তাঁর খলিফা হিসেবে মানুষকে ভালো ও মন্দ করার বিপুল ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাদের অসীম নিয়ামতে ধন্য করে পরীক্ষা করবেন কে চলে হেদায়েতের পথে আর কে চলে না। পরে তার ওপর ভিত্তি করে দেবেন শান্তি বা পুরস্কার। তৃতীয়ত, কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অধিনস্তদের সাথে পরামর্শ করা। কেননা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একাকী সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেয়ে অন্যান্য লোকের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ভুল ভ্রান্তি কম হয়।


ঘ) খতিব সাহেব আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে মানুষকে পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

আরবিতে 'খলিফা' শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। পবিত্র কুরআনে 'খলিফা' শব্দ দ্বারা মানবজাতিকে বোঝানো হয়েছে। খলিফার দায়িত্ব হলো আল্লাহর জমিনে মহান আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করা। যাতে সে সবার সম্মুখে আল্লাহর অনুগত দাস বা গোলাম হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে গর্ববোধ করে এবং আল্লাহর প্রতি তাঁর আনুগত্য দেখে অন্যরা এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে। উদ্দীপকে এ বিষয়ের ইঙ্গিত রয়েছে। উদ্দীপকের খতিব সাহেব মুসল্লিদেরকে আদম সন্তান হিসেবে সম্বোধন করে তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। প্রকৃতই আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ইবাদত করার পাশাপাশি পৃথিবীতে তাঁর বিধান বাস্তবায়ন করার জন্য প্রেরণ করেছেন। আর মানুষ যেহেতু খলিফা বা প্রতিনিধির মর্যাদাপ্রাপ্ত তাই তাদের দায়িত্ব আরও বেশি। খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে মানুষের মূল দায়িত্ব এ পৃথিবীতে মহান আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করা। আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে খলিফারা হালাল-হারাম, উপকার বা ক্ষতির মধ্যে পার্থক্য এবং আল্লাহর সাথে জগতের সম্পর্ক, জগতের সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক, জগৎ ও মানুষের পরস্পর সম্পর্ক, আল্লাহ ও বান্দার সম্পর্ক এসব জানা, বোঝা, জ্ঞানে ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী ত্বড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পৃথিবীতে আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করে মানবজাতিকে সত্য-সুন্দরের পথে পরিচালিত করবে। উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মানুষের প্রধান দায়িত্ব আল্লাহর এ জমিনে তাঁরই বিধান বাস্তবায়ন করা।

299 টি প্রশ্ন

296 টি উত্তর

1 মন্তব্য

1.3k জন সদস্য

6 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য 6 জন অতিথি
আজ ভিজিট : 37404 বার
গতকাল ভিজিট : 14860 বার
সর্বমোট ভিজিট : 259810 বার

Ask2Ans এ আপনাকে সুস্বাগতম, এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং Ask2An অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পাবেন। এখান থেকে যেমন আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তেমনিই এটি ব্যবহার করে আপনার জ্ঞান দিয়ে অপরকে সহায়তা করতে পারবেন। জ্ঞানার্জনের অন্যতম বাংলা প্লাটফর্ম হলো Ask2Ans, আমাদের সাথে থাকুন জ্ঞানঅর্জন করুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 79 বার প্রদর্শিত
14 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 118 বার প্রদর্শিত
26 জানুয়ারি "ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 81 বার প্রদর্শিত
25 জানুয়ারি "ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 92 বার প্রদর্শিত
21 জানুয়ারি "ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 109 বার প্রদর্শিত
...