আস্ক টু আন্স প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগতম, সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রশ্ন করুন।।
0 টি ভোট
99 বার প্রদর্শিত
"ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে করেছেন (525 পয়েন্ট)

রাসুলের যুগের কারা দিনরাত হাদিস চর্চায় নিমগ্ন থাকতেন?

সনদের ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে হাদিস কয় প্রকার ও কী কী? সংজ্ঞা দাও।

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (525 পয়েন্ট)
উদ্দীপকঃ-

নাবিলা একটি আর্ট কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে মূর্তি ও মুখোশ তৈরি করে বিক্রি করে। সে এটাকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। আবার নাবিলার বোন নাদিয়া মডেলিং ও শো-বিজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তাদের এ জাতীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তার দাদা আব্দুল হাকীম সাহেব বললেন- 'উপার্জনের এই পথগুলো হারাম।'

তিনি হাদিসের বাণী উদ্ধৃত করলেন- السُّحْتِ وَكُلُّ لَحْمٍ نَبَتَ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمُ نَبَتَ

مِنَ السُّحْتِ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ . 

ক. রাসুলের যুগের কারা দিনরাত হাদিস চর্চায় নিমগ্ন থাকতেন?

খ. সনদের ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে হাদিস কয় প্রকার ও কী কী? সংজ্ঞা দাও।

গ. নাবিল ও নাদিয়ার উপার্জন কী হিসেবে গণ্য হবে? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. আব্দুল হাকীম সাহেবের উদ্ধৃত হাদিসটির ব্যাখ্যা দাও।

উত্তরঃ-

ক) রাসুল (স.)-এর যুগে আহলে সুফফারা হাদিস চর্চায় দিনরাত নিমগ্ন থাকতেন।

খ) সনদের ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে হাদিস তিন প্রকার; যথা-

১. মারফু হাদিস: যে হাদিসের বর্ণনাধারা মহানবি (স) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে মারফু হাদিস বলে।

২. মাওকুফ হাদিস: যে হাদিসের বর্ণনাধারা কোনো সাহাবি (রা) পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে মাওকুফ হাদিস বলে।

৩. মাকতু হাদিস: যে হাদিসের বর্ণনাধারা কোনো তাবেয়ি পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে মাকতু হাদিস বলে।

গ) নাবিলা ও নাদিয়ার উপার্জন হারাম হিসেবে গণ্য হবে।ইবাদত কুবল হওয়া এবং মুমিন থাকার জন্যে অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হালাল উপার্জন করা এবং হালাল জীবিকা গ্রহণ করা। হারাম উপার্জন করে, হারাম গ্রহণ করে মুমিন থাকা যায় না। নাবিলা ও নাদিয়ার উপার্জনে এর প্রতিফলন লক্ষনীয়।উদ্দীপকের নাবিলা মূর্তি ও মুখোশ বিক্রি করে আর তার বোন নাদিয়া মডেলিং ও শো-বিজে নজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এ দুটি জিনিস থেকে তাদের উপার্জিত অর্থ হালাল নয়। কেননা ইসলামে মূর্তি তৈরি করা হারাম। মূর্তি ও মুখোশ তৈরির পরিণাম খুবই ভয়াবহ। মহানবি (স.)-এর একটি হাদিসে এসেছে, মূর্তি তৈরিকারী ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন বিচারে কাটগড়ায় দাঁড় করিয়ে আল্লাহ তালায়া তার তৈরিকৃত মূর্তিতে রূহ প্রদান করতে নির্দেশ দিবেন। কিন্তু সে তাতে রূহ দিতে পারবে না। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করা হবে। অপরদিকে মডেলিং ও শোবিজ হচ্ছে চূড়ান্ত পর্যায়ের নোংরামির বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহর নির্দেশিত পর্দার লঙ্গন করে মডেলিং ও শো-বিজে দেহ প্রদর্শন করা হয় যা হারাম। সুতরাং নাবিলা ও নাদিয়ার হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ হারাম হিসেবে পরিগণিত হবে।

ঘ) আবদুল হাকীম সাহেবের উদ্ধৃত হাদিসটিতে হারাম উপার্জনের পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।জান্নাত লাভের জন্য শর্ত হলো হালাল উপার্জন। জীবনের কোনো ক্ষেত্রে হারামের প্রতি না ঝুঁকে হালাল উপার্জন করতে হবে। কেননা হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করে ইবাদত করলে তা কবুল হয় না। আব্দুল হাকীম কর্তৃক উদ্ধৃত হাদিসে এ বিষয়ের আলোকপাত করা হয়েছে।উদ্দীপকের নাবিলা ও নাদিয়া অবৈধ পথে উপার্জন করার কারণে তাদের দাদা আব্দুল হাকীম তাদের উপার্জিত অর্থ হারাম হিসেবে আখ্যায়িত করে মহানবি (স.)-এর হাদিস উদ্ধৃত করেন। বস্তুত মুমিন হওয়া এবং মুমিন থাকার জন্যে অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হালাল উপার্জন কর, এবং হালাল জীবিকা গ্রহণ করা। হারাম উপার্জন করে, হারাম গ্রহণ করে মুমিন থাকা যায় না। হারাম উপার্জনের পর সে উপার্জন ভোগ করে ইবাদত করার মতো নাফরমানি ও পাপাচার আর হয় না। এ হলো- আল্লাহর হুকুমের প্রতি এবং তার আনুগত্যের প্রতি চরম অবাধ্যতা। নবি (স) এজন্যই এ হাদিসে হারাম উপার্জনের ব্যাপারে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, 'হারাম রিজিকে যে শরীর বেড়ে উঠেছে, যে শরীরের রক্ত- মাংস গঠিত হয়েছে হারাম সম্পদ দিয়ে, সে শরীর ও গোশত কোনোদিনই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তার ইবাদতও আল্লাহর কাছে কবুলের যোগ্য বিবেচিত হয় না।' পরিশেষে বলা যায়, মুমিনদের সার্বক্ষণিক কর্তব্য হলো হালাল উপার্জন করা।

উদ্দীপকঃ-

টেকনাফের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলে সেলিম। সে উচ্চশিক্ষার জন্য শহরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকায় তার খাদ্য ও থাকার সমস্যা হয়। তবুও সে ভাবে যে উচ্চশিক্ষার জন্য কষ্ট করাটা আল্লাহর পথে থাকার সমান।কারণ হাদিসে- مَنْ خَرَجَ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى

يرجع. 

ক. সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবির নাম কী?

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সেলিম চরিত্রটির সঙ্গে হাদিসের কী মিল রয়েছে? বুঝিয়ে লিখ।

ঘ. উদ্দীপকে প্রদত্ত হাদিসটির অনুবাদ উল্লেখপূর্বক হাদিসটির ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ-

ক) সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবির নাম হযরত আবু হুরায়রা (রা)।

খ) রাবির গুণাগুণ বিবেচনার দিক থেকে হাদিসের সহিহ হাদিস। অন্যতম প্রকার হলো যে হাদিসের রাবি পূর্ণস্মৃতিশক্তির অধিকারি ও ও ন্যায়নিষ্ঠ, যে হাদিস ত্রুটিযুক্ত নয় এবং যে হাদিস নির্ভরযোগ্য রাবির বর্ণনার বিপরীত নয় সেই মুত্তাসিল হাদিসকে সহিহ হাদিস বলা হয়।

গ) সেলিম চরিত্রটির সঙ্গে জ্ঞান অন্বেষণ সম্পর্কিত হাদিসের মর্যাদার মিল রয়েছে।জ্ঞান শব্দের আরবি প্রতিশব্দ ইলম। ইলম অর্থ জানা, অনুধাবন করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার সত্ত্বা ও সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার নাম ইলম। যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য ঘর থেকে বের হয় সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমান মর্যাদা পায়। সেলিম এ মর্যাদার অংশীদার হবে।উদ্দীপকের সেলিম জ্ঞান অর্জনের জন্য বাড়ির বাইরে অবস্থান করতে যেয়ে খাদ্য ও থাকার জায়গার সংকটে পড়ে। উদ্ভুত পরিস্থিতিকেও সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে ভাবে সে যে কষ্ট করছে সেটা আল্লাহর পথেই করছে। জ্ঞান অন্বেষণ করা মূলত আল্লাহর পথে বিচরণ করা। জ্ঞানের পথই আল্লাহর পথ। কেননা আল্লাহর পথে বিচরণ করা বা জিহাদের উদ্দেশ্য হলো সকল অন্যায় অবিচার দূর করে পৃথিবীতে আল্লাহর দীন কায়েম করা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। ঠিক একইভাবে জ্ঞান অর্জন করার উদ্দেশ্য হলো নিজের প্রজ্ঞা শক্তি দিয়ে সমাজে বিদ্যমান অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং অশান্তির বিরুদ্ধে কলম ধরা। এজন্যই রাসুল (স) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণে বের হয, সে আল্লাহর পথে থাকে যতক্ষণ না সে ফিরে আসে (তিরমিযি)। সুতরাং বলা যায় সেলিমের সাথে জ্ঞান অন্বেষণকারীর মর্যাদা সম্পর্কিত হাদিসের সামঞ্জস্য রয়েছে।

ঘ) উদ্দীপকে প্রদত্ত হাদিসটিতে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও মর্যাদা আলোচনা করা হয়েছে। হাদিসটির অনুবাদ- 'যখন কোন মানুষ জ্ঞান অন্বেষণে বের হয়, সে বের হয় আল্লাহর পথে। যতক্ষণ না সে বাসায় ফিরে আসে (তিরমিযি)।ইসলামি আকিদার মূল বিষয় এবং ফরজ বিধানাবলি সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। ইসলামি জ্ঞান অজর্নকারীর মর্যাদা জিহাদকারীর সমান। উদ্দীপকের হাদিসে এ বিষয়টির আলোকপাত করা হয়েছে।ইসলামে যত রকম ইবাদত রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে জিহাদ। কেননা ইসলাম প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠিত ইসলামি ব্যবস্থাপনার সংরক্ষণে জিহাদের বিকল্প নেই। এজন্যেই যারা জিহাদে অংশ নেয় কুরআন- হাদিসে তাদের বিশেষ মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স) জ্ঞান অন্বেষণের কাজকে জিহাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমান বলেছেন বস্তুত জ্ঞান অন্বেষণ হলো- বুদ্ধিবৃত্তিক জিহাদ এবং এটিই প্রকৃত জিহাদ। কেননা, দৈহিক, শক্তিতে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া গেলেও, সে বিজয়কে সংহত করা এবং ইসলামি বিধানানুযায়ী তার দাবি আদায় করতে হলে জ্ঞানই প্রধান অবলম্বন। জ্ঞানের পথ তাই আল্লাহরই পথ। অবশ্য এ জ্ঞান হলো মানকল্যাণধর্মী ও আখিরাতমুখী জ্ঞান। ইসলামে এ জ্ঞানার্জন করা ফরজ। মহানবি (স) বলেছেন- 'জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ' (ইবনে মাজাহ)।পরিশেষে দুনিয়া আখিরাতে মর্যাদাবান হওয়ার জন্য সকলের জ্ঞান অর্জন করা উচিত।

উদ্দীপকঃ-

আব্দুল হালিম একজন সৎ ব্যবসায়ী। তিনি গ্রাহকের সাথে মিথ্যা বলে পণ্য বিক্রি করেন না, ওজনে কম দেন না। ফলে মুনাফা কম হয়। কিন্তু তার পাশের দোকানদার গ্রাহকের সাথে মিথ্যা বলে ওজনে কম দেয়। ফলে তার মুনাফা বেশি হয়। একদিন উত্ত এলাকার ইমাম সাহেব আব্দুল হালিমকে তার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলেন। উত্তরে সে ইমাম সাহেবকে সব ঘটনা খুলে বলল। তখন ইমাম সাহেব তাকে সান্ত্বনা দিয়ে নিন্মোক্ত হাদিসটি পাঠ করে শোনালেন।

التَّاجِرُ الْآمِينُ الصَّدُوقُ الْمُسْلِمُ مَعَ الشُّهَدَاءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

ক. সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারীর নাম কী?

খ. উদ্দীপকের বর্ণিত হাদিসের অর্থ লেখ।

গ. আব্দুল হালিম কিয়ামতের দিন কাদের সাথে থাকবেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. বর্ণিত আব্দুল হালিমের পাশের দোকানদারের ব্যবসা পদ্ধতি হাদিসের দৃষ্টিতে সঠিক কি না? তোমার যুক্তিগুলো তুলে ধর।

প্রশ্নের উত্তরঃ-

ক) সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবির নাম হযরত আবু হুরায়রা (রা)।

খ) উদ্দীপকের হাদিসটিতে ব্যবসায়ীর সততা অবলম্বন ও বিশ্বস্ত থাকার গুণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।হাদিসটির অর্থ: মুসলিম সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহিদদের সাথে থাকবেন।সৎ ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম কিয়ামতের দিন শহিদদের সাথে থাকবেন। ব্যবসা-বাণিজ্য একটি পবিত্র পেশা। যে মুসলমান ব্যবসায়ী অর্থের লোভের পড়ে মিথ্যা বলে না, অধিক লাভের আশায় ক্রেতাকে প্রতারিত করে না এবং পণ্যে ভেজাল দেয় না, তারাই বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী। আর এ ধরনের ব্যবসায়ী শহিদদের মর্যাদা পাবে। উদ্দীপকের হাদিসে এরই ইঙ্গিত রয়েছে।উদ্দীপকের সৎ ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম গ্রাহকের সাথে মিথ্যা বলে পণ্য বিক্রি করেন না, ওজনেও কম দেন না। মহানবি (স) বলেছেন, বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী মুসলিম ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহিদদের সাথে থাকবেন। (মুসতাদরাক হাকিম)। কেনাবেচা, দ্রব্য সঠিক দেওয়া এবং তার মান ঠিক রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ী অসৎ হলে, সাধারণ মানুষ দৈহিক ও আর্থিক দিক দিয়ে বিভিন্ন রকম ক্ষতির মধ্যে পড়তে বাধ্য। বর্তমান যুগ হলো প্রতারণা, মজুতদারি এবং সুদি কারবারের যুগ। এ যুগেও উদ্দীপকের জনাব আব্দুল হালিম এসব অসৎ পথ থেকে মুক্ত হয়ে ইসলামি বিধি-বিধানের আলোকে অত্যন্ত সৎ ও বিশ্বস্ততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ কারণে তিনি কিয়ামতের দিন শহিদদের সাথে অবস্থান করবেন।

ঘ) আব্দুল হালিমের পাশের দোকানদার প্রতারণা করে ব্যবসা করছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে মোটেই সঠিক না।ব্যবসায়-বাণিজ্য একটি পবিত্র পেশা। তা সততার সাথে করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়ার সফলতার পাশাপাশি আখিরাতে কল্যাণ লাভ করা যায়। আব্দুল হালিমের পাশের দোকানদার ব্যবসায়ে ইসলামি পদ্ধতি পরিহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আব্দুল হালিমের পাশের দোকানদার সে গ্রাহকদের সাথে মিথ্যা বলছে, প্রতারণা করছে, ভেজাল পণ্য বিক্রয় করে ক্রেতাদের ধোঁকা দিচ্ছে। প্রতারণা করে ব্যবসা করাকে মহানবি (স) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, 'যে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।' তার এ কাজগুলো নিফাকের অন্তর্ভুক্ত। আর যারা এ কাজের সাথে জড়িত তারা মুনাফিক। মুনাফিকরা ইসলামের চরম শত্রু। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, 'মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।' তাদের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে- 'নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে' (সুরা নিসা- ১৪৫)। অন্যদিকে ব্যবসায়ে সততা অবলম্বন করা ইসলামের নির্দেশ। বলা হয়েছে- 'আল্লাহ ব্যবসায়কে হালাল করেছেন, আর সুদকে হারাম করেছেন' (সুরা বাকারা-২৭৫)।ওপরের আলোচনায় দেখা যায়, ইসলাম জীবিকা অর্জনের উত্তম মাধ্যম হিসেবে ব্যবসায়কে ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে সততা ও বিশ্বস্ততাকে প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে শর্ত দেওয়া হয়েছে। প্রতারণা, ভণ্ডামি পরিহার করার উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আব্দুল হালিমের পাশের দোকানদার উল্লেখিত শর্ত ভঙ্গ করে নিজের স্বার্থের অনুকূলে অসৎভাবে ব্যবসা করছে। তা-ই এ পদ্ধতি ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।'

299 টি প্রশ্ন

296 টি উত্তর

1 মন্তব্য

713 জন সদস্য

2 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য 2 জন অতিথি
আজ ভিজিট : 1666 বার
গতকাল ভিজিট : 3515 বার
সর্বমোট ভিজিট : 133056 বার

Ask2Ans এ আপনাকে সুস্বাগতম, এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং Ask2An অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পাবেন। এখান থেকে যেমন আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তেমনিই এটি ব্যবহার করে আপনার জ্ঞান দিয়ে অপরকে সহায়তা করতে পারবেন। জ্ঞানার্জনের অন্যতম বাংলা প্লাটফর্ম হলো Ask2Ans, আমাদের সাথে থাকুন জ্ঞানঅর্জন করুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 105 বার প্রদর্শিত
26 জানুয়ারি "ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 57 বার প্রদর্শিত
10 নভেম্বর 2023 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 69 বার প্রদর্শিত
07 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 90 বার প্রদর্শিত
11 নভেম্বর 2023 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
...