ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক এর কোষবিদ্যা ও ভ্রুনবিদ্যা প্রশ্নোত্তর-
১. হিস্টোলজি কাকে বলে?
= বিজ্ঞানের যে শাখায় প্রাণির বিভিন্ন টিস্যু, অঙ্গ, অন্ত্র ইত্যাদি অনুবীক্ষন যন্ত্রের সাহায্যে বর্ণনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বলে
২. কোষ কাকে বলে?
= জীবদেহের গঠন ও কাজের একক।
৩. কোষের কাজ লেখ।
= বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে, পুনরুৎপাদনে অংশগ্রহণ করে, জীবদেহ গঠন করে।
৪. একটি আদর্শ প্রাণি কোষের কয়টি অংশ থাকে ও কি কি?
= তিনটি অংশ; যথাঃ সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ প্রাচীর।
৫. আবরণী কলা কাকে বলে?
= যে টিস্যু শরীরের বিভিন্ন তলকে আবৃত করে রাখে তাকে আবরনী কলা বলে।
৬. এন্ডোথেলিয়াম ও মেসোথেলিয়াম কাকে বলে?
= স্কোয়ামাস আবরণী কলা রক্তবাহিকার প্রাচীরে থাকলে এন্ডোথেলিয়াম আর পেরিকার্ডিয়াম, পুরা ও পেরিটোনিয়ামে থাকলে মেসোথেলিয়াম।
৭. নিউক্লিয়াসের অবস্থান ও আকৃতির উপর ভিত্তি করে আবরণী কলা কয় প্রকার ও কি কি?
= তিন প্রকার- ১. স্কোয়ামাস, কলামনার, কিউয়েবডাল।
৮. তরুনাস্থি কি?
= এক ধরনের যোজক কলা যা অর্থ কঠিন কন্ড্রিয়াম নামক মেট্রিক্স দ্বারা গঠিত।
৯. লসিকা কী? উদাহারণ দাও।
= টিস্যুর বাইরের অতিরিক্ত তরল পদার্থ লসিকা নালির ভিতর দিয়ে রক্তে প্রবেশ করলে তাকে লসিকা বলে। যেমন: টনসিল, থাইমাস, স্প্রিন ইত্যাদি।
১০. অমৃণ বেশি কোথায় পাওয়া যায়?
= হৃৎপিন্ডে ও কঙ্কাল পেশিতে।
১১ . এমব্রায়োলজি পাঠের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী?
= জীবের অভিব্যক্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে জানা যায়।বিভিন্ন প্রাণির জাতি ও বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য ও সাদৃশ্য জানা যায়।জন্মগত বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা সম্পর্কে জানা যায়।জীববিজ্ঞানের আরো নানান শাখা সম্পর্কে জানতে হলে এর জ্ঞান আবশ্যক।
১২. যোজক কলার কার্যাবলি লেখ।
= এক টিস্যু বা অঙ্গের সাথে অন্য টিস্যু বা অঙ্গের সংযোগ করা।দেহের কাঠামো নির্মাণ করা।দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
১৩. অস্থির গঠন আলোচনা কর।
= অস্থি সর্বাপেক্ষা দৃঢ় যোজক কলা।এর ম্যাট্রিক্স ৪০% জৈব আর ৬০% অজৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত।জৈব অংশ অস্টিওয়েড ও কোলাজেন দ্বারা গঠিত এবং অজৈব অংশ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ও ক্যালসিয়াম ফসফেট দ্বারা গঠিত।অস্থিতে তিন ধরনের কোষ থাকে।অগ্নিকে ঘিরে পেরিঅস্টিয়াম নামক পর্দা থাকে।
১৪. উজেনেসিস কাকে বলে? উদাহারণ দাও।
= ডিম্বানু তৈরির প্রক্রিয়াকে ওজেনেসিস বলে।
১৫. প্রলম্বিত অংশের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে নিউরন কয়প্রকার ও কী কী?
= ৪ প্রকার।যথাঃ- ইউনিপোলার, বায়োপোলার, মাল্টিপোলার, সিউডোইউনিপোলার
১৬. শুক্রাশয় কোন ধরনের গ্রন্থি?
= শুক্রাশয় একই সাথে অন্তক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থি।
বহিঃক্ষরাঃ- সেমিনিফেরাস নালিকা, শুক্রানু উৎপন্ন করে।
অন্তক্ষরা: ইন্টারস্টিশিয়াল বা লেডিগ কোষ ও টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপন্ন করে।
১৭. জরায়ুর কয়টি অংশ ও কি কি?
= তিনটি অংশ।জরায়ু শিং, জরায়ু দেহ, জরায়ু মুখ।
১৮. গ্যামেট কাকে বলে? গ্যামেট কয়প্রকার?
= পুং অথবা স্ত্রী জননকোষকে গ্যামেট বলে। এটি দুই প্রকার- পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেট।
১৯. স্পার্মাটোজেনেসিস ও ডিজেনেসিস কাকে বলে?
= শুক্রানু তৈরির প্রক্রিয়াকে স্পার্মাটোজেনেসিস বলে।
২০. গ্যাস্ট্রলেশনের ফলে সৃষ্ট এক্টোডার্মে ও মেসোডার্ম হতে ভ্রুনের কি কি তৈরি হয়?
= এক্টোডার্ম স্বরঃ এপিডার্মিস, চুল, নখ, লোম, ঘর্মগ্রন্থি, স্তনগ্রন্থি, মুখগহবর ইত্যাদি।
মেসোভার্ম স্তরঃ বিভিন্ন পেশি ও ইউরেজেনিটাল তন্ত্রের অঙ্গসমূহ।
২১. মসৃণ পেশি ও কঙ্কাল পেশির মাঝে পার্থক্য লেখ।
২২. যোজক কলাকে কীভাবে শ্রেণিবিভাগ করা যায়?
২৩. ওজেনেসিস আলোচনা কর।
২৪. মসৃণ, হৃদপেশি ও কঙ্কাল পেশির মাঝে তুলনা কর।
২৫. চিত্রসহ স্ত্রী জননতন্ত্রেও অংশগুলোর নাম লেখ।
২৬. সাধারণ স্কোয়ামাস, সাধারণ কলামনার ও সাধারণ কিউবয়ডাল আবরণী কলার বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।