প্রশ্ন- সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ কীভাবে ঘটেছে?
উত্তর:- পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে একই ডিএনএ'র মাধ্যমে।সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে নানান বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণীর বসবাস। প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত পদার্থ পৃথিবীতে বিদ্যমান থাকার ফলে আদিকাল থেকেই এ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণের বিকাশে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ গ্রহটি।
প্রশ্ন- কিউরেটররা পৃথিবীতে কেন প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধান করে থাকেন?
উত্তর:- পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে সমাজবদ্ধ, পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান প্রাণীকে শনাক্ত করতে কিউরেটররা পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধান করে থাকে।সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবী প্রাণধারণের জন্য একটি উপযুক্ত গ্রহ। কিউরেটররা এ গ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে চায়। পৃথিবীতে কোনটি বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী এবং অতি প্রাচীনকাল থেকে কোনটির বিকাশ ঘটেছে- এ ভাবনা থেকেই দুজন কিউরেটর পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করে। তারা নানা প্রাণীর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে অবশেষে সফল প্রাণী হিসেবে পিঁপড়াকে শনাক্ত করে।
প্রশ্ন- "আসলে এটি জটিল প্রাণ নয়। খুব সহজ এবং সাধারণ"- কথাটি বুঝিয়ে দাও?
উত্তর:- পৃথিবীতে বিচিত্র প্রাণের সমাহার ঘটলেও ভাইরাস থেকে যে এদের উৎপত্তি এ বিষয়টি তুলে ধরে দ্বিতীয় কিউরেটর প্রথম কিউরেটরকে আলোচ্য কথাটি বলেছে।পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণের সমন্বয়ে এক অপরূপ জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণীদের মধ্যে প্রজাতির ভিন্নতা থাকলেও গঠনগত দিক থেকে এরা অভিন্ন। মূলত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে এসব প্রাণের সূচনা ঘটলেও ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের থাকে আলাদা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। এ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে কেউ হয় শ্রেষ্ঠ আবার কেউ হয় নিকৃষ্ট। এসব প্রাণীকে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হয় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে।
প্রশ্ন- প্রাণীর বিকাশের নীলনকশার পরিচয় দাও।
উত্তর: প্রতিটি প্রাণী একইভাবে ডিএনএ দিয়ে গঠিত হলেও এদের বিকাশের নীলনকশা সহজ ও কঠিন হয়ে থাকে।পৃথিবীতে বিচিত্র প্রাণীর বসবাস। উৎপত্তিগত দিক বিচার করলে এদের মধ্যে অভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রতিটি প্রাণীর বিকাশের নীলনকশা ডিএনএ দিয়ে গঠিত। ফলে কোনোটির প্রাণের বিকাশ সহজ হয়ে উঠেছে, আবার কোনোটির প্রাণের বিকাশ হয়ে উঠেছে কঠিনভাবে। মূলত ডিএনএ'র মাধ্যমে প্রাণ সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত হয়ে এদের বিকাশের নীলনকশা তৈরি হয়।
প্রশ্ন- কুকুরকে সামাজিক শ্রেণির প্রাণী বলা হলেও বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী বলা যায় না কেন?
উত্তর: দলবদ্ধ হয়ে বাস করলেও অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা বশীভূত হওয়ার কারণে কুকুরকে সামাজিক শ্রেণির প্রাণী বলা হলেও বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী বলা যায় না।স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে কুকুর অন্যতম সমাজিক শ্রেণির প্রাণী। এরা দলবদ্ধ হয়ে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে এরা মানুষ দ্বারা বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত বা বশীভূত। তাই এরা নিজেদের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলে। পরাধীন হলেও কুকুর দলবদ্ধ হয়ে চলার কারণে সামাজিক প্রাণী বলে বিবেচিত; কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী বলে বিবেচিত হয় না।
প্রশ্ন- প্রাণী হিসেবে মানুষ কীভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে?
উত্তর:- মানুষ তার মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে মননশীল এবং সৃজনশীল প্রাণী হিসেবে পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।মূলত বিবেক-বুদ্ধি ও বিচারশক্তিই মানুষকে অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। বুদ্ধি ও শক্তি দ্বারা সে ভালো-মন্দ বিচার করে কল্যাণমূলক কাজ করতে পারে, অদূর ভবিষ্যতের জন্য সুখী- সমৃদ্ধ জীবন তৈরি করতে পারে। সভ্যতার বিকাশ, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, বিজ্ঞানের নানা সফলতার মাধ্যমে জীবনকে আরও আধুনিক, আনন্দময় ও সহজ করে তুলছে মানুষ। এভাবেই প্রাণী হিসেবে মানুষ পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করছে।