ক) অ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণ কি?
উঃ- ছত্রাক সংক্রমণে এই রোগটি হয়ে থাকে।
লক্ষণঃ- ১. বীজ, পাতা ও ফলের উপর দাগ পড়ে এবং এগুলো পচে যায়।
২. পাতা ও কাণ্ডে বাদামি দাগ পড়ে।
৩. আক্রমণ বেশি হলে ফলের আকার বিকৃত হয়।
খ) . গোড়া পচা রোগ/ড্যাম্পিং অফ/চারা ধ্বসা রোগ এর কারণ কি?
উঃ- ছত্রাক সংক্রমণে হয়।
লক্ষণঃ- ১. গাছের গোড়ায় কাণ্ডে মরিচার মত লালচে দাগ পড়ে।
২. পরে বাদামি হয়ে কাণ্ডকে চারদিক বেষ্টন করে।
৩. গাছের শিকড় ও গোড়া পচে যায়।
৪. গাছ নেতিয়ে পড়ে।
গ) ঢলে পড়া রোগ (Wilt) এর কারণ কি?
উঃ- ছত্রাক সংক্রমণে হয়।
লক্ষণঃ- ১. গাছ খাটো হয়। পাতা ও ফল ছোট হয়।
২. পাতা প্রথমে হলুদ ও পরে বাদামি হয়ে গাছ ঢলে পড়ে মারা যায়।
৩. আক্রান্ত অংশ কাটলে কালো রঙের দাগ দেখা যায়।
ছত্রাকজনিত অ্যানথ্রাকনোজ, গোড়া পচা ও ঢলে পড়া রোগের দমন ব্যবস্থা একই রকম। নিচে উল্লেখ্য করা হলোঃ-
দমন ব্যবস্থা: ১. বীজ শোধন করে বীজ বপন করা।
২. রোগ মুক্ত বীজ বপন করা।
৩. আক্রান্ত অংশ ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলা।
৪. অনুমোদিত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা।
১৬. তুলা সংগ্রহ: সাধারণত বীজ বপনের ৫-৬ মাস পরে বোল ফেটে তুলা বের হলেই বোল পরিগর। হয়। রোদ্র উজ্জ্বল দিনে তুলা সংগ্রহ করতে হয়। তিন বার তুলা সংগ্রহ করতে হয়। গাছের ৩০-৪০% বোল ফেটে গেলেই প্রথম বারের মত পরিপক্ক বোল সংগ্রহ করা হয়। এর ১৫-২০ দিন পর দ্বিতীয় পর্যায়ে তুলা সংগ্রহ করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে আরো ১৫-২০ দিন পর বাকি সব তুলার বোল সংগ্রহ করতে হয়। তুলার বোল সংগ্রহ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে তুলায় ধুলাবালি না লাগে। শুকনা পাতা, ময়লা ও ভালপালা না মিশে। রোগবালাই দ্বারা আক্রান্ত বোল ও অপরিষ্কার বোল পৃথকভাবে তুলতে হবে। তুলা ও বার রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করা যায়। খারাপ ও নষ্ট বীজতুলা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হয়।
১৭. ফলন: হেক্টর প্রতি ১.৩-১.৫ টন তুলা উৎপাদন হয়।