প্রশ্নঃ- সয়াবিনের চাষ পদ্ধতির উপর প্রতিবেদন তৈরি করো?
উত্তরঃ- বীজ সংরক্ষণঃ- সাধারণত ২/৩ মাস পরই বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা কমতে শুরু করে। তাই পরবন্ধ। মৌসুমে লাগানোর জন্য বীজ সংরক্ষণে করণীয় হচ্ছে-
(১) ২/৩ ঘণ্টা করে কয়েক দিন শুকাতে হবে। বীজ এমনভাবে শুকাতে হবে যাতে বীজের আর্দ্রতা ১০০ ১২% এর বেশি না থাকে।
(২) বীজ ভালোভাবে ঝেড়ে নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং রোগাক্রান্ত বা পচা বীজগুলো বেছে ফেলে দিতে হবে।
(৩) বীজ রাখার জন্য পলিথিন ব্যাগ, টিনের ড্রাম, আলকাতরা মাখা মাটির মটকা বা কলসী, বিস্কুটের কৌটা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। পাত্রের মুখ ভালোভাবে আটকিয়ে রাখয়ে হবে যেন কোনক্রমে বাতাস ঢুকতে না পারে। বীজ ঠাণ্ডা হলে সংরক্ষণ করতে হবে।
সয়াবিন বীজে শতকরা ১৯-২২ ভাগ তেল থাকে।স্থানীয় ঘানি বা বর্তমানে দেশে প্রচলিত এক্সপেলারে সয়াবিন থেকে তেল নিষ্কাশন সম্ভব নয়। অত্যাধুনিক নিষ্কাশন যন্ত্রের মাধ্যমে এর বীজ থেকে তেল নিষ্কাশন করা সম্ভব এবং এর জন্য প্রচুর পরিমাণ বীজ প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বীজের অভাবে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে সয়াবিনের তেল নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়নি। পর্যাপ্ত জমির অভাবে সয়াবিনের চাষও বাড়ানো যাচ্ছে না। তবে সয়াখাদ্য ও পশুপাখির খাদ্য তৈরিতে সয়াবিনের চাহিদা রয়েছে।
-
তেল জাতীয় ফসলের অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ-
১. ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করে।
২. সূর্যমুখির তেল ঔষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৩. সয়াবিনে ৩০-৫০% আমিষ থাকে। যা আমিষের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৪. সয়াবিন দিয়ে ৩৬ প্রকারের তৈরিকৃত খাদ্যের দেশে ও বিদেশে চাহিদা রয়েছে।
৫. বিভিন্ন রকম সয়াখাদ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে। নোয়াখালী ও ঢাকায় সয়াখাদ্য শিল্প গড়ে উঠেছে।
৬. ভোজ্য তেলে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
৭. তেলের খৈল উন্নতমানের জৈব সার।
৮. তেল দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাফার হিসেবে কাজ করে।
৯. বিভিন্ন প্রকার তেল দিয়ে শিল্পজাত সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যেমন- মোম ও সাবান।
১০. তেল বীজ মাড়াইয়ের পর শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১১. সয়াবিন পশুপাখির খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গাজীপুর ও ঢাকায় পোল্ট্রি খাদ্য শিল্প গড়ে উঠেছে।
১২. সয়াবিন মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
১৩. কর্মসংস্থাতীয় য্যসন্ধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি কাজে প্রায় লক্ষাধিক তোর ব্যবস্থা করতে পেরেছে।