আপনার কন্টেন্ট যদি এসইও করা না হয়, তবে মানুষ আপনার আর্টিকেল দেখতে পারবে না।গুগল, ইউটিউব অথবা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কন্টেন্ট ইন্ডেক্স থাকার পরেও সঠিক এসইও এর অভাবে তা সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে র্যাংক করবে না।অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের কোনো পোস্ট বা কন্টেন্টকে গুগলে র্যাংক করাতে হলে তা অবশ্যই ভালো করে এসইও করতে হবে।এখন আসি আর্টিকেলের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করার কারণ কি? একটি ওয়েবসাইটের অর্গানিক ভিজিটর বাড়াতে হলে এসইও আর ইউনিক কন্টেন্টের কোনো বিকল্প নেই।সাইটকে গুগলের ১ম পৃষ্ঠায় আনতে হলে এই দুইটি থাকা অত্যন্ত জরুরি।এগুলো ছাড়া সাইট র্যাংক করনো কখনোই সম্ভব হবে না।প্রথমতো কপি পোস্ট সাইটে কখনোই করা যাবে না।এটা গুগল কখনোই সমর্থন করে না।সুতরাং আপনাকে নিজের লেখা সুন্দর ও মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।আর অন পেইজ ও অফ পেইজ দুই ধরনের এসইও, সাইটের পোস্টগুলোতে এই দুটাই রাখতে হবে।তবেই আপনার ওয়েবসাইটে ধীরে ধীরে ভিজিটর আসতে আরম্ভ করবে।মনে রাখবেন, একদিনেই সফল হওয়া যায়, এমন কথা বোকারাই ভাবে।সুতরাং আপনাকে সময় এবং ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
আর্টিকেল এসইও করুনঃ -
১. এজন্য শুরুতেই যে কাজ হবে, সেটা হলো কীওয়ার্ড রিসার্চ।কোনো শব্দে কত সার্চ ভলিউম, কত সিপিসি এসব ভালোভাবে জেনে এরপর কীওয়ার্ড অনুসারে টপিক নির্বাচন করে আর্টিকেল লিখুন।পরবর্তী পোস্টে থাকছে কীওয়ার্ড রিসার্চ করা সম্পর্কে কন্টেন্ট।সেখানে এসম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করবো।আপাতত এতটুকু বললাম এটা নিয়ে।আর কোনো প্রশ্ন জানার থাকলে মন্তব্য করে জানাবেন আমাদের।
২. হেডিং ব্যবহার করুন, কোনো বাক্য বা ওয়ার্ড বোল্ড করুন প্রয়োজন অনুসারে।h1, h2, h3 এগুলো ব্যবহার করতে পারেন আর্টিকেলটি আরো এসইও ফ্রেন্ডলি করতে।আর এক পোস্টে রিসার্চ শব্দ রিলেটেড আরও কয়েকটি শব্দ হেডিং এ রেখে টপিক তৈরি করে নিন পোস্টের ভিতরে।
৩. ৫০০ থেকে ১২০০ শব্দের মধ্যে কন্টেন্ট তৈরি করুন।অবশ্য ১২০০ এর বেশি শব্দ হলেও কোনো সমস্য নেই।তবে পাঁচশ ওয়ার্ডের নিচে পোস্ট না লেখাই ভালো।খেয়াল রাখবেন, একই শব্দ বারবার ব্যবহৃত যেনো না হয়।আর গুগলের কাছে ভেল্যু পাবে এমন পোস্ট তৈরি করুন।আর্টিকেল লিখতে হলে বেশ সময় নিয়ে বানান শুদ্ধভাবে ও সঠিকভাবে লিখুন।যাতে গুগল পছন্দ করে এবং এডসেন্স পেতেও আপনার সুবিধা হয়।
৪. প্রতি ৪০০ শব্দে এক থেকে দুটি ইমেইজ ব্যবহার করুন।তবে অবশ্যই ইউনিক ইমেইজ দিন পোস্টে, কখনোই কপি ইমেইজ দিবেন না।নিজের তৈরি করা আর্টিকেল সম্পর্কিত পিক এড করুন।অতিরিক্ত ইমেইজ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. সবশেষ ট্যাগ ব্যবহার করুন।যে কিওয়ার্ড গুলো পেয়েছিলেন কন্টেন্ট সম্পর্কিত সেগুলোই ট্যাগ হিসেবে পোস্টে দিবেন।প্রতি ৫০০ শব্দের জন্য ৩ বা ৪ টা ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত। আজকের আর্টিকেল এসইও করা নিয়ে লেখা পোস্টটা এখানেই শেষ করছি।