আস্ক টু আন্স প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগতম, সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রশ্ন করুন।।
+1 টি ভোট
76 বার প্রদর্শিত
"বাংলা সাহিত্য" বিভাগে করেছেন (569 পয়েন্ট)

  • “সহজাত চাতুর্য, প্রকৃতিগত সুরুচি আর বুদ্ধির নমনীয়তাই হলো তাদের আভিজাত্য”- ব্যাখ্যা কর?
  • নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার জন্ম হয়েছে।”- কথাটি বুঝিয়ে লেখ ।
  • মাদাম লোইসেলের বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার উপায় ছিল না কেন?
  • মাদাম লোইসেল কীভাবে বিলাসবহুল জীবন সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠল?
  • “অনেক সাধারণ পরিবারের মেয়েকেও বিশিষ্ট মহিলার সমকক্ষ করে তোলে।” কথাটি বুঝিয়ে দাও ।
  • মাদাম লোইসেল কেন একটি ছোট সুরভিত কক্ষ চেয়েছিল?

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (569 পয়েন্ট)

  • প্রশ্ন- “সহজাত চাতুর্য, প্রকৃতিগত সুরুচি আর বুদ্ধির নমনীয়তাই হলো তাদের আভিজাত্য”- ব্যাখ্যা কর?

 উত্তরঃ- 'নেকেলস' গল্পে মাদাম লোইসেলের পরিবারের শ্রেণিগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন। মাদাম লোইসেল ছিলেন সুন্দরী তরুণী। নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার জন্ম হয়েছে। তাই তার শ্রেণির অন্যতম হিসেবে সে ছিল অসুখী। তাদের কোনো জাতিবর্ণ নেই। কারণ জন্মের পরে পরিবার থেকেই তারা শ্রী, সৌন্দর্য ও মাধুর্য সম্পর্কে সজাগ হয়ে ওঠে। এ প্রসঙ্গে লেখক তাই বলেছেন, সহজাত চাতুর্য, প্রকৃতিগত সুরুচি আর বুদ্ধির নমনীয়তাই হলো তাদের আভিজাত্য।


  • প্রশ্ন- “নিয়তির ভুলেই যেন এক কেরানির পরিবারে তার জন্ম হয়েছে।”- কথাটি বুঝিয়ে লেখ ।

উত্তরঃ- প্রশ্নোক্ত বাক্যটিতে মাদাম লোইসেলের বিলাসবহুল জীবনাকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরা হয়েছে।মাদাম লোইসেল একজন সাধারণ ঘরের মেয়ে। সে যথেষ্ট সৌন্দর্যের অধিকারিণী। সে তার সৌন্দর্যকে আরও বেশি পরিস্ফুট করতে চায়। নিজেকে বিলাসী হিসেবে ভাবতে সে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফলে চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান তার জীবনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। এনে দিয়েছে দুঃখকাতরতা। মেয়েটি কেরানি জীবনকে কোনোক্রমেই মেনে নিতে পারে না। এ কারণেই উল্লিখিত উক্তিটি করা হয়েছে।


  • প্রশ্ন- মাদাম লোইসেলের বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার উপায় ছিল না কেন?

উত্তরঃ- মাদাম লোইসেলের জন্ম কেরানির পরিবারে। তাই বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার উপায় ছিল না।'নেকলেস' গল্পটিতে মাদাম লোইসেল গরিব ঘরের এক সুন্দরী মেয়ে। সে উচ্চাভিলাষী, স্বপ্নময় ও সুখী জীবন প্রত্যাশায় দিন- রাত নিজেকে ব্যস্ত রাখে আর নিজের দারিদ্র্যকে চরম ঘৃণা করে। সে কল্পনার চোখে এমন একজন পুরুষ কামনা করে, যে তার জীবনের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের গন্ডি থেকে সে কখনই বের হতে পারেনি, সন্ধান পায়নি কোনো বিখ্যাত পুরুষের। মূলত দরিদ্র কেরানির পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণেই মাদাম লোইসেন্সের বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার উপায় ছিল না।


  • প্রশ্ন- মাদাম লোইসেল কীভাবে বিলাসবহুল জীবন সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠল?

উত্তরঃ- পরিবার থেকে শ্রী, সৌন্দর্য ও মাধুর্য চর্চার মাধ্যমে মাদাম লোইসেল বিলাসবহুল জীবন সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। মাদাম লোইসেল শৈশব থেকেই সৌন্দর্য-চেতনায় উদ্দীপ্ত। দারিদ্র্যের কারণে তা পূরণ করতে পারে না। অন্যদিকে না পাওয়ার ব্যর্থতা তাকে কষ্টের আগুনে পোড়াতে থাকে। তার কল্পনার রাজ্যে সে দামি, বিলাসবহুল জীবনযাপনে বিভোর থাকে বলে নিজেকে এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি দিতে পারে না। মূলত মাদাম লোইসেলের পারিপার্শ্বিক জীবনানুভূতি ও মানসিক অবস্থাই তার বিলাসবহুল জীবনাকাঙ্ক্ষার জন্য দায়ী।


  • প্রশ্ন- “অনেক সাধারণ পরিবারের মেয়েকেও বিশিষ্ট মহিলার সমকক্ষ করে তোলে।” কথাটি বুঝিয়ে দাও?

উত্তরঃ- মন্তব্যটিতে প্রকৃতিগত রুচি আর বুদ্ধির নমনীয়তাই যে একজন সাধারণ পরিবারের মেয়ের মনে বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন দেখাতে পারে সে দিকটি উপস্থাপিত হয়েছে।'নেকলেস' গল্পের মাদাম লোইসেল একজন সাধারণ মেয়ে। সে বিলাসবহুল জীবনে প্রচণ্ড আগ্রহী। তার সমস্ত দারিদ্র্য, হতাশা, নিরাশাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্চাভিলাষিতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকতেই সে বেশি পছন্দ করে। বিলাসী, স্বপ্নিল, ধনাঢ্য জীবনই যেন তার জীবনের একমাত্র প্রত্যাশা। মূলত সে প্রকৃতিগত রুচি আর বুদ্ধির নমনীয়তার মাধ্যমেই বিলাসবহুল জীবনযাপন কামনা করেছে।


  • প্রশ্ন- মাদাম লোইসেন্স কেন একটি ছোট সুরভিত কক্ষ চেয়েছিল?

উত্তরঃ- মাদাম লোইসেল বিকাল বেলায় তার প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য বিলাসী চিন্তায় বিভোর হয়ে একটি ছোট সুরভিত কক্ষ প্রত্যাশা করেছিল।মানুষের কল্পনার জগৎ অসীম আকাঙ্ক্ষার সীমানা চিহ্নহীন। মাদাম লোইসেল একজন কল্পনাপ্রেমী, বিলাসী জীবনের প্রত্যাশী মানুষ। সে স্বপ্ন দেখে পৃথিবীর বিলাসবহুল সব উপকরণ নিজের মতো করে উপভোগ করবে। ঠিক অনুরূপভাবেই স্বপ্নে বিভোর হতে থাকে যে, তার একটি ছোট সুন্দর সুরভিত কক্ষ থাকবে, যেখানে বসে সে অন্তরঙ্গ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আনন্দচিত্তে আড্ডা দিবে।


  • প্রশ্ন- “সেখানে তুমি গোটা সরকারি মহলকে দেখতে পাবে।”— কথাটি বুঝিয়ে দাও?

উত্তরঃ- জনশিক্ষা মন্ত্রী ও মাদায় জর্জ রেমপনুর নিজ বাসগৃহের এক অনুষ্ঠানে মসিয়ে ও মাদাম লোইসেলের উপস্থিতি কামনা করে চিঠি লিখলে মসিয়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে তাকে সে কথাটি জানিয়েছিল।জনশিক্ষা মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয়ে মাদাম লোইসেল অনেক কষ্ট পায়। কারণ ঐ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার মতো উপযুক্ত পোশাক ও অলংকার তার নেই। এতে দরিদ্র কেরানি স্বামী তাকে আগ্রহান্বিত করতে থাকে যে, সেখানে গেলে অনেক কিছুই সে দেখতে পাবে। মাদাম লোইসেল সরকারি পর্যায়ের সমস্ত বিষয়কে অবলোকনের চেয়ে পোশাক ও স্বর্ণালংকারকেই বেশি প্রাধান্য দিতে থাকে। তবুও স্বামী যে তাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করানোর অব্যর্থ চেষ্টা চালায় তার প্রকাশ ঘটেছে আলোচ্য উক্তিটিতে।

Ask2Ans এ আপনাকে সুস্বাগতম, এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং Ask2An অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পাবেন। এখান থেকে যেমন আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তেমনিই এটি ব্যবহার করে আপনার জ্ঞান দিয়ে অপরকে সহায়তা করতে পারবেন। জ্ঞানার্জনের অন্যতম বাংলা প্লাটফর্ম হলো Ask2Ans, আমাদের সাথে থাকুন জ্ঞানঅর্জন করুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 34 বার প্রদর্শিত
25 ডিসেম্বর 2023 "বাংলা সাহিত্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 75 বার প্রদর্শিত
07 নভেম্বর 2023 "বাংলা সাহিত্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 52 বার প্রদর্শিত
21 ফেব্রুয়ারি "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 55 বার প্রদর্শিত
26 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 41 বার প্রদর্শিত
17 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
...