আস্ক টু আন্স প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগতম, সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রশ্ন করুন।।
0 টি ভোট
95 বার প্রদর্শিত
"পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন (569 পয়েন্ট)

  • সোমনাথ মন্দিরটি কোথায় অবস্থিত?
  • সতীদাহ প্রথা কী? ব্যাখ্যা কর।
  • সিন্ধুর প্রধান বন্দরটির নাম কী ছিল?
  • তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের ওপর সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (569 পয়েন্ট)

উদ্দীপকঃ-


 => কমল মজুমদারের সীমানার পাশেই আফসার গোমেজের জমিদারী অবস্থিত। পাশাপাশি জমিদারী হওয়ায় সীমানা এবং চোর- ডাকাতের আশ্রয় প্রশ্রয় নিয়ে দুই জমিদারের বিবাদ লেগেই থাকত। একবার চর এলাকা থেকে কমল মজুমদারের কিছু প্রজা তাদের নিজেদের শস্য বোঝাই নৌকা নিয়ে আসার সময় জমিদার আফসার গোমেজের এলাকার কিছু জলদস্যু শস্যগুলো লুট করে নিয়ে যায়। কমল মজুমদারের এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শান্তি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। কিন্তু আফসার গোমেজ তাতে অস্বীকৃতি জানান। কমল মজমুদার তার লোকজনকে আফসার গোমেজের জমিদারী আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। এতে আফসার গোমেজ বাধা প্রদান করতে এসে নিহত হন এবং তার এলাকার লোকজনদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। লোকজন প্রাণভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। 


প্রশ্নঃ-

ক. সিন্ধুর প্রধান বন্দরটির নাম কী ছিল?

খ. তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের ওপর সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনার সাথে আরবদের সিন্ধু বিজয়ের কোন কারণটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে জনাব আফসার গোমেজের পরিণতি এবং রাজা দাহিরের পরিণতি কি একই ছিল? বিশ্লেষণ কর।


 প্রশ্নের উত্তরঃ-

ক) সিন্ধুর প্রধান বন্দরটির নাম দেবল বন্দর।


গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত শস্য বোঝায় নৌকা নিয়ে যাওয়ার সাথে সিন্ধু বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণটির সাদৃশ্য রয়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে সিংহলরাজ কর্তৃক খলিফা ওয়ালিদ ও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নিকট প্রেরিত উপঢৌকনপূর্ণ আটটি আরব জাহাজ দেবলস্থ জলদস্যু কর্তৃক লুণ্ঠনই ছিল আরবদের সিন্ধু অভিযানের প্রত্যক্ষ কারণ। উদ্দীপকেও এ কারণটি প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকে লক্ষ করা যায় যে, কমল মজুমদারের কিছু প্রজা তাদের নিজেদের শস্য বোঝাই নৌকা নিয়ে আসার সময় জমিদার আফসার গোমেজের এলাকার কিছু জলদস্যু শস্যগুলো লুট করে নেওয়ায় কমল মজুমদার জড়িতদের শান্তি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করলে আফসার গোমেজ অস্বীকৃতি জানায়। পরে কমল মজুমদার তার লোকজনকে আফসারের জমিদারি আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। সিন্ধু বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণটিও এরূপ। সিংহলে অবস্থানকারী বেশকিছু আরব বণিক মৃত্যুমুখে পতিত হলে সিংহলরাজ আটটি জাহাজে করে তাদের স্ত্রী-পুত্র- কন্যা ও মূল্যবান উপঢৌকন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এবং খলিফার দরবারে প্রেরণ করেন। জাহাজগুলো যখন সিন্ধুর দেবল উপকূলে এসে পৌছায় তখন জলদস্যুরা এগুলো লুণ্ঠন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সিন্ধুর রাজা দাহিরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। ফলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তার জামাতা মুহাম্মদ বিন কাসিমকে সিন্ধু আক্রমণের নির্দেশ দেন। তিনি ৭১২ খ্রিস্টাব্দে সিন্ধুতে অভিযান চালান এবং রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু বিজয় করেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকটি আরবদের সিন্ধু আক্রমণের প্রত্যক্ষ কারণকেই ইঙ্গিত প্রদান করে।


ঘ) উদ্দীপকে আফসারের জমিদারির পরিণতি ও রাজা দাহিরের পরিণতি একই ধরনের।

উমাইয়া খলিফা আল ওয়ালিদের শাসনামলে সিন্ধুর রাজা দাহির কর্তৃক বিদ্রোহীদের আশ্রয়দান ও দেবল বন্দরের জলদস্যুদের জাহাজ লুন্ঠনের এবং অন্যান্য কারণে খলিফার অনুমতিক্রমে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ৭১০ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে প্রথমে ওবায়দুল্লাহ এবং পরে বুদাইলের নেতৃত্বে সিন্ধুরাজ দাহিরের বিরুদ্ধে পরপর ২টি অভিযান প্রেরণ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত উভয় সেনাপতি নিহত হন এবং অভিযান দুটিও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ৭১১ খ্রিস্টাব্দে স্বীয় ভ্রাতৃম্পুত্র ও জামাতা ১৭ বছর বয়স্ক মুহাম্মদ বিন কাসিমের নেতৃত্বে সিন্ধু দেশে তৃতীয় অভিযান প্রেরণ করেন। মুহাম্মদ বিন কাসিম ৬০০০ বাছাই করা সৈন্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দেবল দুর্গ, নিরুন, সিওয়ান ও সিসাম বিজয় করেন। অবশেষে তিনি সিন্ধু নদ অতিক্রম করে রাজা দাহিরকে পরাজিত করেন এবং ২০ জুন ৭১১ খ্রিষ্টাব্দে রাজা দাহিরকে হত্যা করেন। উদ্দীপকেও একইভাবে কমল মজুমদারের লোকজন আফসারের জমিদারি আক্রমণ করে সবকিছু ছারখার করে আফসারকে উৎখাত করে। সুতরাং জমিদার আফসার পরিণতি এবং রাজা দাহিরের পরিণতি যেন একই সূত্রে গাঁথা।



 উদ্দীপকঃ-


=> সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কামাল সাহেব এর উন্নতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। আর্থিকভাবে সচ্ছল হবার জন্য তিনি কয়েকটি ধনী দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার ব্যবস্থা করলেন এবং দেশটিতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিলেন। দেশীয় পন্ডিতদের পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গবেষণায় নিয়োগ করলেন। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেশটি স্বনির্ভর ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে।


প্রশ্নসমূহঃ-

ক. সোমনাথ মন্দিরটি কোথায় অবস্থিত?

খ. সতীদাহ প্রথা কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের কামাল সাহেবের কর্মকাণ্ডের সাথে সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের কোন কারণটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়? তার বিবরণ দাও। 

ঘ. উভয়ের উদ্দেশ্য এক হলেও পন্থা ভিন্ন-বিশ্লেষণ কর।


প্রশ্নের উত্তরঃ-


ক) ভারতের গুজরাটে সোমনাথ মন্দিরটি অবস্থিত।


গ) কামাল সাহেবের কর্মকাণ্ডের সাথে সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের অর্থনৈতিক কারণের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। গজনীর শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, একে সমৃদ্ধিশালী ও আকর্ষণীয় নগরীতে পরিণত করার জন্য, একটি বিশাল সেনাবাহিনীকে পোষণের মানসে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষকতার মহান উদ্দেশ্যে সুলতান মাহমুদের অর্থের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশকে তিনি তার প্রয়োজনীয় অর্থের কল্পতরু মনে করে তথায় ১৭ বার অভিযান পরিচালনা করেন। সদ্য স্বাধীন দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোবারক সাহেবের নানামুখী উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এ অর্থের যোগানের জন্য তিনি ধনী দেশে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবস্থা করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের ব্যবস্থা করেন। তার গৃহীত কর্মকাণ্ডের সাথে সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের অর্থনৈতিক কারণের সাদৃশ্য রয়েছে।


ঘ) প্রেসিডেন্ট কামাল সাহেবের সাথে সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের উদ্দেশ্যগত মিল থাকলেও কৌশল বা পন্থা অবলম্বনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে।স্বীয় সিংহাসনকে সুরক্ষিত করে উচ্চাভিলাষী ও যুদ্ধপ্রিয় সুলতান মাহমুদ তার ৩২ বছরের রাজত্বকালে ভারতে মোট ১৭বার অভিযান পরিচালনা করেন এবং প্রত্যেকটি অভিযানে তিনি জয়লাভ করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি প্রচুর ধন-সম্পত্তি লাভ করেন।প্রেসিডেন্ট কামাল সাহেব দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন। অন্যদিকে সুলতান মাহমুদ নিজ দেশের উন্নয়নের জন্য পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে যুদ্ধ অভিযানের মাধ্যমে ধন- সম্পদ অর্জন করেন। কামাল সাহেব ও সুলতান মাহমুদ উভয়ই নিজ দেশের উন্নয়নের জন্য কৌশল বা পন্থা অবলম্বন করেছেন। তাদের উভয়েরই উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতান মাহমুদ ও প্রেসিডেন্ট কামাল সাহেবের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যগত মিল থাকলেও পন্থাগত ভিন্নতা ছিল।

Ask2Ans এ আপনাকে সুস্বাগতম, এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং Ask2An অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পাবেন। এখান থেকে যেমন আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তেমনিই এটি ব্যবহার করে আপনার জ্ঞান দিয়ে অপরকে সহায়তা করতে পারবেন। জ্ঞানার্জনের অন্যতম বাংলা প্লাটফর্ম হলো Ask2Ans, আমাদের সাথে থাকুন জ্ঞানঅর্জন করুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 78 বার প্রদর্শিত
28 নভেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 51 বার প্রদর্শিত
10 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 71 বার প্রদর্শিত
17 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 96 বার প্রদর্শিত
23 নভেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
...