১. খোদার ভেদ বুঝা সত্যিই মুশকিল বহিপীর কেন এ কথা বলেছিলেন?
উত্তরঃ- বজরা আর নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েও মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ায় বহিপীর বলেন, খোদার ভেদ বুঝা সত্যিই মুশকিল।ঝড়ের সময় বজরা আর নৌকা একই সঙ্গে খালের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করায় নৌকা ও বজরার মধ্যে ধাক্কা লাগে। ধাক্কা খেয়ে নৌকাটা আধা ডোবা হয়ে যায়। আর বহিপীর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মরতে মরতে বজরায় আশ্রয় পেয়ে বেঁচে যান। এজন্য তিনি আলোচ্য কথাটি বলেছিলেন।
২. পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরবো তাহেরা এ কথা বলেছিল কেন?
উত্তরঃ- 'পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরবো'- তাহেরা এ কথা বলেছিল কারণ, সে পীর সাহেবের সঙ্গে কিছুতেই যাবে না।বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তাহেরা মেনে নিতে পারেনি। তাই সে। ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল। কিন্তু বজরায় পীর সাহেব আছেন এ কথা জানার পর তাহেরা বুঝতে পারে যে তিনি তাহেরার খোঁজেই বেরিয়েছেন। কিন্তু পীরের সঙ্গে যাওয়া অপেক্ষা মৃত্যুকে শ্রেয় ভেবেছিল বলে সে পানিতে ঝাঁপ দিতে চেয়েছিল।
৩. তাহেরা সহজে ভয় পায় না, খোদেজা এ কথা কেন বলেছিল?
উত্তরঃ- তাহেরা সহজে ভয় পায় না- খোদেজা এ কথা বলার কারণ, যে মেয়ে ঘর ছেড়ে পালাতে পারে সে অত সহজে ভয় পায় না। তাহেরার পালিয়ে আসার বিষয়টি খোদেজাকে বিস্মিত করেছে। এ থেকে সে বুঝতে পেরেছে যে সহজে ভয় পাওয়ার মতো মেয়ে তাহেরা নয়। কারণ একজন মেয়ের ঘর ছেড়ে পালাতে গেলে অনেক সাহসের প্রয়োজন হয়। এজন্যই আলোচ্য উক্তিটি খোদেজা করেছিল।
৪. খোদেজা বিস্মিত হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ- স্বামীকে ছেড়ে তাহেরা পালিয়ে এসেছে এ কথা শুনে খোদেজা বিস্মিত হয়েছিল।খোদেজার মতে বিয়ে হলো তকদিরের কথা। কারো ভালো স্বামী জোটে, কারো জোটে না, কেউ স্বাস্থ্য, সম্পদ সবই পায়, কেউ পায় না। কিন্তু স্বামী ছেড়ে পালানোর কথা সে কখনো শোনেনি। তাই তাহেরার স্বামী ছেড়ে পালিয়ে আসার কথা শুনে সে বিস্মিত হয়।
৫. নৌকার সঙ্গে বজরার ধাক্কা লাগার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ- ঝড়ের সময় বজরা আর নৌকা একই সঙ্গে খালের ভেতরে ঢুকতে চেষ্টা করেছিল বলে নৌকার সঙ্গে বজরার ধাক্কা লেগেছিল। একদিকে অন্ধকার অন্যদিকে প্রচণ্ড বাতাসের ধাক্কা মাঝিরা সামাল দিতে পারেনি। কেননা অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এজন্য ঝড়ের সময় বজরা আর নৌকা একই সঙ্গে খালের ভেতরে ঢুকতে চেষ্টা করলে নৌকার সঙ্গে বজরার ধাক্কা লাগে।
৬. তাহেরা ভয় পেয়েছিল কেন?
উত্তরঃ- যে পীর সাহেব বজরায় আশ্রয় নিয়েছিল, সে-ই হয়তো তাহেরার খোঁজে বেরিয়েছেন। হাশেম এ কথা বলায় তাহেরা ভয় পেয়েছিল। তাহেরা যখন বজরায় এসেছিল, তখন এক পীর সাহেবও বজরায় এসে উপস্থিত হয়েছিল। হাশেম তাহেরাকে বলেছিল যে এই পীরই হয়তো সেই পীর, যার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। আবার হাশেম রসিকতা করে বলে, হয়তো তাহেরার খোঁজে সে বেরিয়েছে। এজন্যই হাশেমের কথা শুনে তাহেরা ভয় পেয়েছিল।
৭. "না না অমন কথা বলবেন না",-তাহেরা হাশেমকে এ কথা বলেছিল কেন?
উত্তরঃ- বজরাতেই পীর সাহেব আর তার বিবির মিলন হবে, মাঝখানে তারা কিছু সওয়াব পাবে হাশেম এ কথা বলায় তাহেরা আলোচ্য কথাটি বলেছিল।তাহেরা যখন বজরায় এসেছিল, তখনই এক পীর সাহেবও বজরায় উপস্থিত হয়েছিল। আর হাশেম পীর সাহেবকে তাহেরার পীর সাহেব বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। হাশেম আরো বলেছিল যে বজরাতেই পীর সাহেব আর বিবির মিলন হবে, মাঝখান থেকে তারা কিছু সওয়াব পাবে। তখন তাহেরা হাশেমের কথা শুনে আলোচ্য উক্তিটি করেছিল।