ব্যাপনের হার নিয়ন্ত্রনকারী প্রভাবকসমূহঃ-
১) সেল মেমব্রেনের পারমিয়াবিলিটি: ব্যাপনের হার সরাসরি সেল মেমব্রেনের পারমিয়াবিলিটির সমানুপাতিক।
২) তাপমাত্রা: তাপমাত্রার সাথে ব্যাপনের হার সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ তাপমাত্রা বাড়লে ব্যাপনের হারও বাড়ে।
৩) পদার্থের উপাদানের ঘনত্ব বা ইলেক্ট্রিক্যাল ঘনত্বঃ যে পদার্থের উপাদানগুলো সেল মেমব্রেনের মধ্যদিয়ে চলাচল করবে তাদেও উপাদানের ঘনত্বের উপর ব্যাপনের হার নির্ভর করে এবং তা সরাসরি সমানুপাতিক।
৪) পদার্থের দ্রবীভূত হওয়ার ক্ষমতা: কোন পদার্থের দ্রবীভূত হওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকলে ব্যাপনের হারও বেশি হয়। অর্থাৎ ব্যাপনের হার ঐ পদার্থের দ্রবীভূত হবার সমানুপাতিক।
৫) সেল মেমব্রেনের পুরুত্বঃ পুরুত্ব বেশি হলে ব্যাপন কম এবং পুরুত্ব কম হলে ব্যাপন বেশি হয়। অর্থাৎ সম্পর্কটি ব্যস্তানুপাতিক।
৬) পদার্থের কণার আকার: পদার্থের কণার আকার বড় হলে ব্যাপন কমবে আর কণার আকার ছোট হলে ব্যাপন বাড়বে।
৭) আয়নের আকার: যদি আয়নের আকার বড় হয় তবে ব্যাপন কমবে, আর ছোট হলে বাড়বে।
৮) আয়নের চার্জ: ক্যালসিয়াম আয়নে চার্জের সংখ্যা বেশি এবং সোডিয়াম আয়নে চার্জের সংখ্যা কম। ব্যাপনের সময় ক্যালসিয়াম আয়নের ব্যাপনের হার সোডিয়াম আয়নের তুলনায় কম হয়। অর্থাৎ আয়নের চার্জের সাথে ব্যাপনের হারের সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক।
ব্যাপনের গুরুত্বঃ-
১• পৌষ্টিক নালী থেকে খাদ্য উপাদান শোষণ হয় এই প্রক্রিয়ায়।
২. মূত্র উৎপাদন নিয়ন্ত্রন এবং শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে।
৩. উদ্ভিদ সালোক সংশ্লেষণের সময় বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
৪. জীব কোষে শ্বসনের সময় গ্লোকোজ জারনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়। আর জীব কোষে এই অক্সিজেন প্রবেশ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
৫. উদ্ভিদ দেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়।
৬. প্রাণীদের শ্বসনের সময় অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের আদান-প্রদান ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
৭. প্রাণীদের রক্ত, খাদ্য ও অক্সিজেন প্রভৃতির লসিকায় বহন ও লসিকা থেকে কোষে পরিবহন ব্যাপন দ্বারা সম্পন্ন হয়।