১. একঝাঁক নক্ষত্র নেমে এসেছে যেন নীল আকাশ থেকে সবুজ সায়রে। ব্যাখ্যা করো?
উত্তরঃ- নিমগাছের ফুল সম্পর্কে লেখক এ কথা বলেছেন। নিমগাছের ফুলগুলো গাছে থোকা থোকা ফুটে থাকে। ফুলগুলো যেন নক্ষত্রের মতো জুল জ্বল করছে সবুজের মধ্যে। দেখে মনে হচ্ছে যেন একঝাঁক নক্ষত্র নীল আকাশ থেকে সবুজ সাগরে নেমে এসেছে।
২. 'খোস দাদ হাজা চুলকানিতে লাগাবে' -এখানে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ- নিমের পাতা বিভিন্ন চর্মরোগের ক্ষেত্রে ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।নিমের পাতা বিভিন্ন চর্মরোগের জন্য খুব ভালো ওষুধ। তাই অনেকে নিমের পাতা ছিঁড়ে শিলে পিষছে। আবার কেউবা ভাজছে গরম তেলে দাদ, হাজা, চুলকানিতে লাগাবে বলে। আলোচ্য কথাটির মধ্য দিয়ে লেখক নিমগাছের ঔষধি গুণকে প্রকাশ করেছেন।
৩. কবির চোখে নিমগাছের সৌন্দর্য তুলে ধর।
উত্তরঃ- কবি মুগ্ধদৃষ্টিতে নিমগাছের দিকে চেয়ে রইল।নিমগাছের পাতাগুলিকে তার কাছে খুব সুন্দর মনে হলো। থোকা-থোকা ফুলেরই বা কী বাহার... একঝাঁক নক্ষত্র যেন নীল আকাশ থেকে সবুজ সাগরে নেমে এসেছে। তাই সে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল নিমগাছের দিকে।
৪. নিমগাছটি লোকটির সাথে যেতে পারল না কেন?
উত্তরঃ- শিকড় অনেক দূর চলে যাওয়ার নিমগাছটি লোকটির সাথে যেতে পারল না।নিমগাছটি লোকটির সাথে চলে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু যেতে পারল না, কারণ শিকড় অনেক দূর চলে গেছে। আমাদের গৃহবধূরা শত অবহেলা পেলেও তার অবস্থান থেকে নড়তে পারে না। কারণ স্বামী, সন্তান নিয়ে তার দায়িত্বটা এমন জায়গায় পৌঁছে যায়, সেখান থেকে ইচ্ছা করলেও চলে যেতে পারে না।
৫. নিমের কচি ডাল লোকগুলো ভেঙে চিবোয় কেন?
উত্তরঃ- নিমের কচি ডাল চিবোলে দাঁত ভালো থাকে। নিমের ডালের রস দাঁতের চারপাশের জীবাণু ধ্বংস করে। দাঁতের সুস্থতার জন্য লোকগুলো নিমের কচি ডালগুলো দাঁতোন হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভেঙে চিবোয়।