প্রশ্ন- আমাদের ঐতিহ্য ঋদ্ধ কেন?
উত্তরঃ- মহৎ মনীষী হৃদয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অবদানে আমাদের ঐতিহ্য ঋদ্ধ।ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সামনে স্বাধীন বাংলার সূর্য ডুবে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে সিরাজউদ্দৌলার আহ্বানে মির মদন ও মোহনলাল প্রাণপণে যুদ্ধ করেছেন। ঠিক তেমনি তিতুমীরও এদেশ থেকে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করতে যুদ্ধ করে প্রাণ হারিয়েছেন। এমনিভাবে গোবিন্দ দেব ও মুনীর চৌধুরী দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন। এসব মনীষীর অবদানে আমাদের ঐতিহ্য ঋদ্ধ।
প্রশ্ন- বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উৎসব সম্পর্কে যা জান বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ- বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলা নববর্ষ। নানা সাজ-সজ্জায়, অনুষ্ঠানে, বর্ণিল পোশাকে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়। এদিন আবালবৃদ্ধবনিতা এক কথায় সকল বয়সের লোক নববর্ষ উৎসবে অংশগ্রহণ করে। শুধু তা-ই নয়, সকল ধর্মের লোক বাংলা নববর্ষের উৎসবে যোগ দেয়। এ উৎসব শুধু বিত্তবান, মধ্যবিত্ত বা দীন-দরিদ্র কৃষকের নয়- এ উৎসব বাংলা ভাষাভাষী অর্থাৎ বাঙালির উৎসব।
প্রশ্ন- বাংলা নববর্ষে মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় কেন?
উত্তরঃ- উৎসবকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলার জন্য বাংলা নববর্ষে মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।বাংলা নববর্ষের উৎসবকে উৎসবমুখর করে তোলে বৈশাখী মেলা। এ মেলাকে ঘিরে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল বয়সী লোক আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। গ্রাম-বাংলায় এমনকি নগরজীবনে, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করতে এবং বাংলা নববর্ষকে আনন্দমুখর করে তলতে মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
প্রশ্ন- উপমহাদেশ বিভক্তির ফলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ- উপমহাদেশ বিভক্তির ফলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ন্যক্কারজনক।১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্ত হলে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। তখন পাকিস্তান নামে যে রাষ্ট্র গড়ে ওঠে তা মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ঐ সময় পূর্ব পাকিস্তান বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করলে পশ্চিম পাকিস্তান তা ভালোভাবে মেনে নেয়নি। পশ্চিম পাকিস্তান মনে করেছিল, বাংলা নববর্ষ উৎসবটি হিন্দুদের। এজন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ন্যাক্কারজনক।