সপ্তম শ্রেণীর বাংলা ১ম অধ্যায়ের প্রশ্নঃ-
-
■ প্রশ্ন- সোমা আপা ক্লাসে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন?
উত্তরঃ- সোমা আপা ক্লাসে নোটিশ বোর্ডে দেওয়া নোটিশ নিয়ে কথা বলছিলেন। যেখানে লেখা ছিল সামনের সপ্তাহে মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
-
■ প্রশ্ন- সোহেল কেন পলাশের কথায় বিরক্ত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ক্রিকেট খেলার দল গঠনের সময়ে পলাশ বারবার সোহেলকে অন্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করছিল। যেমন- সোহেল গতদিন মাদরাসায় আসেনি কেন? তার বড়ো মামা বিদেশ থেকে এসেছেন কি না ইত্যাদি। এই অপ্রাসঙ্গিক কথার জন্য সোহেল তার কাজে মনোযোগ দিতে পারছিল না। তাই পলাশের এরকম অপ্রাসঙ্গিক কথার জন্য সোহেল বিরক্ত হয়েছিল।
-
■ প্রশ্ন- পলাশ কিভাবে সোহেলের সাথে কথা বললে তা প্রাসঙ্গিক হতো?
উত্তরঃ- পলাশ ক্রিকেটের দল গঠনের ব্যাপারে সোহেলের সাথে কথা বলতে পারত। তাহলে তা প্রাসঙ্গিক হতো। যেমন- বন্ধুদের মধ্যে কারা কারা ক্রিকেট ভালো খেলে সে সম্পর্কে বলা, দলে কাকে কাকে নেওয়া যায় সে ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া।
-
■ প্রশ্ন- ভাষার অভাষিক মাধ্যমকে নির্দেশ করে এরূপ আরও কিছু মাধ্যমের কথা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নির্দেশ করে। ভাষা আবিষ্কারের পূর্বে নানারকম অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে, কখনো আবার ছবি এঁকে মানুষ নিজের ভাব প্রকাশ করেছে। এজন্য নানা ধরনের চিহ্ন এবং সংকেতও ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা মুখ বা চেহারার নানা ভঙ্গি করে হাসি, কান্না, বিস্ময়, জিজ্ঞাসা ইত্যাদি বোঝাতে পারি। মাথা নেড়ে হ্যাঁ বা না বোঝাতে পারি। এ জাতীয় ভাষাকে বলে অঙ্গভঙ্গির ভাষা (Gesture Language)। রাস্তায় দেখা যায়, ট্র্যাফিক পুলিশ হাতের ইশারায় গাড়ি থামায়, আবার চলার নির্দেশ দেয়। রাস্তার দুপাশে অনেক নির্দেশ থাকে; যেমন- কোন দিকে গাড়ি চলবে, কোন দিকে গাড়ি চলবে না, রাস্তা সোজা না বাঁকা, পথচারী কীভাবে রাস্তা পার হবে ইত্যাদি। যারা কথা বলতে ও শুনতে পায় না তাদের আমরা বলি মূক বা বধির। তাদের ব্যবহারের জন্য এক ধরনের ভাষা আছে। হাতের আঙুল ব্যবহার করে, কখনো আঙুল মুখে ছুঁয়ে, কখনো আবার হাত মাথায় উঠিয়ে, কখনো বুকে হাত দিয়ে তারা তাদের ভাব প্রকাশ করে।