আস্ক টু আন্স প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগতম, সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রশ্ন করুন।।
0 টি ভোট
58 বার প্রদর্শিত
"ব্যবসা-বাণিজ্য" বিভাগে করেছেন (569 পয়েন্ট)

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-এর রচনামূলক প্রশ্নোত্তর

  • প্রশ্ন- অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে?
  •  অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধাসমূহ বর্ণনা কর? 
  • অংশীদারী ব্যবসায়ের অসুবিধা আলোচনা কর?
  • অংশীদারি চুক্তি কাকে বলে? 
  • নাবালক অংশীদার হতে পারে কি-না আলোচনা কর।

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (569 পয়েন্ট)

রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ-


  • প্রশ্ন- অংশীদারি ব্যবসায় কাকে বলে? অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধাসমূহ বর্ণনা কর? 

উত্তরঃ-

 ভূমিকাঃ অংশীদারি ব্যবসায় মানবসমাজের প্রথম সংঘবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। কতিপয় ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ মূলধন সরবরাহ করে এ ব্যবসায় গঠন করতে হয়। একক মালিকানায় যেসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করা যায় না অংশীদারের ভিত্তিতে সেগুলো গঠন করা যায়। তাই অংশীদারি ব্যবসায়ে কিছু সুবিধা পরিলক্ষিত হয়।

  •  অংশীদারি ব্যবসায়ের সংজ্ঞাঃ-

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে দুই বা ততোধিক (কিন্তু সাধারণ ব্যবসায়ে ২০ জন এবং ব্যাংকিং ব্যবসায়ে ১০ জনের অধিক নয়) ব্যক্তি স্বেচ্ছায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে যে ব্যবসায় গঠন করে, তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে। চুক্তি অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলভিত্তি। অংশীদারগণ ব্যবসায়ে মূলধনের যোগান দেয় এবং চুক্তি অনুসারে লাভ-লোকসান নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেয়। অংশীদারি ব্যবসায়ের স্বতন্ত্র কোনো সত্তা নেই। এ ব্যবসায়ে অংশীদারদের দায় ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে অসীম থাকে। সকল অংশীদার বা সকলের পক্ষে যেকোনো এক বা দুজন ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে।

  • প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ-

 ১৮৯০ সালের ব্রিটিশ অংশীদারি আইনের ১ ধারা অনুসারে, "মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে যৌথভাবে ব্যবসায় পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যে ব্যবসায় গঠন করে তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলে।”

বাংলাদেশে কার্যকর ১৯৩২ সালের ভারতীয় অংশীদারি আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী, “স্কলের দ্বারা অথবা সকলের পক্ষে তাদের যেকোনো এক ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়ের মুনাফা বণ্টনে সম্মত হয়েছে এমন চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে সৃষ্ট সম্পর্ককে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়। "

#অধ্যাপক থমাস-এর মতে, "A partnership is an association of people who carry on business together for the purpose of making profits." অর্থাৎ মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে একত্রে যেসব ব্যক্তি ব্যবসায় পরিচালনা করে তাদের সমিতিকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়।

সুতরাং দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জন ও নিজেদের মধ্যে তা বণ্টনের লক্ষ্যে পারস্পরিক সম্বিশ্বাসে চুক্তির ভিত্তিতে একতাবদ্ধ হয়ে যে ব্যবসায় গঠন করে, তাকে অংশীদারি ব্যবসায় বলা হয়। অংশীদারি ব্যবসায়কে শরীকানা ব্যবসায়ও বলা হয়।


  • অংশীদারি ব্যবসায়ের সুবিধাষমূহঃ-

মাঝারি ধরনের ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে অংশীদারি সংগঠন বিশেষ কতকগুলো সুবিধা ভোগ করে। চুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশীদারি ব্যবসায়ের কতিপয় সুবিধা নিচে আলোচনা করা হলো-

১. সহজ গঠনপ্রণালি : অংশীদারি ব্যবসায়ের গঠনপ্রণালি সহজ। ন্যূনতম দু জন এবং সর্বোচ্চ বিশ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ হয়ে যেকোনো সময় অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করতে পারে।

২. অধিক মূলধন একাধিক সদস্য থাকায় এ ব্যবসায়ে অধিক মূলধনের সমাবেশ ঘটে। প্রয়োজনে নতুন অংশীদার গ্রহণ করে মূলধনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। তাছাড়া পুরাতন অংশীদারগণও পুনরায় মূলধন যোগান দিতে পারে।

 ৩. দক্ষ কর্মচারী নিয়োগ : অধিক আর্থিক সচ্ছলতা ভোগ করে বলে অংশীদারি সংগঠন প্রয়োজনবোধে অধিক বেতন ও সুযোগ- সুবিধার বিনিময়ে বাইরে থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মচারী নিয়োগ করতে হয়।

৪. অভিন্ন স্বার্থ : সকল অংশীদারের স্বার্থ এক ও অভিন্ন বলে তারা সকলে একক এবং সমষ্টিগতভাবে সংগঠনের সাফল্যের জন্য কাজ করে। ফলে ব্যবসায় দিন দিন উন্নতি লাভ করে।

৫. অধিক ঋণের সুবিধা : একমালিকানা ব্যবসায়ের তুলনায় অংশীদারি ব্যবসায় অধিক ঋণের সুবিধা ভোগ করে। কারণ এ ব্যবসায়ের সদস্যদের একক ও যৌথ দায়িত্ব অসীম। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ের সম্পদ যথেষ্ট না হলে সদস্যদের ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধ করা যায়। তাছাড়া সমাজে সদস্যদের ব্যক্তিগত সুনাম ও ভাবমূর্তি ঋণ সুবিধা ভোগে সহায়তা করে।

৬. ঝুঁকি বণ্টন : অংশীদারগণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সংগঠনের যেকোনো ক্ষতি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। ফলে প্রত্যেকের একক ঝুঁকির পরিমাণ কমে যায় যা একমালিকানা সংগঠনে সম্ভব হয় না।

৭. অসীম দায়ের দ্বৈত ফল : অংশীদারি সংগঠনে অংশীদারদের দায় সীমাহীন হওয়ায় ব্যবসায় দুভাবে উপকৃত হয়। প্রথমত, এ সংগঠন অধিক ঋণের সুবিধা ভোগ করে। দ্বিতীয়ত, অংশীদারগণ অত্যন্ত সতর্কতা ও দক্ষতার সাথে সংগঠন পরিচালনা করতে চেষ্টা করে। ফলে অধিক সাফল্য অর্জিত হয়।

৮. দক্ষ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা : এ ব্যবসায়ে একাধিক দক্ষ, অভিজ্ঞ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমাবেশ ঘটে। ফলে প্রত্যেকে নিজ নিজ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে দলগতভাবে কাজ করে। এর ফলে অত্যন্ত দক্ষতা এবং সুষ্ঠুভাবে ব্যবসায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয়।

  • উপসংহারঃ-

পরিশেষে বলা যায়, অংশীদারি ব্যবসায় দীর্ঘপথ পরিক্রমায় টিকে থাকার পেছনে কতিপয় সুবিধা রয়েছে। যা সাধারণত অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় না। অংশীদারি ব্যবসায় বর্তমান বৃহদায়তন ব্যবস্থায় এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে আছে তার নিজস্ব যোগ্যতার গুণেই।



  • প্রশ্ন- অংশীদারি ব্যবসায়ের অসুবিধা আলোচনা কর?


উত্তরঃ- ভূমিকাঃঅংশীদারি ব্যবসায়ের কার্যক্ষেত্র কেবল সুবিধার মধ্যে আকীর্ণ নয় এতে রয়েছে নানাবিধ অসুবিধা। এজন্য সুপ্রাচীন কাল হতে এ ব্যবসায় শুরু হয়েও আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। ফলে ব্যবসার ক্ষেত্রে পায় নি তেমন জনপ্রিয়তা।

অংশীদারি ব্যবসায়ের অসুবিধাসমূহঃ- অংশীদারি ব্যবসায়ের অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এর বেশ কতকগুলো অসুবিধাও রয়েছে। এই অসুবিধাসমূহ নিচে আলোচিত হলো-

১. অসীম দায়ঃ- অংশীদারি ব্যবসায়ের দায় অসীম। ব্যবসায়ের দেনার জন্য সকল অংশীদারই দায়ী। একজনের ভুলত্রুটির জন্য সকল অংশীদারকে ঝুঁকি বহন করতে হয় এবং ব্যবসায়ের দেনার জন্য অংশীদারদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিও দায়বদ্ধ থাকে।

২. অনিশ্চিত স্থায়িত্বঃ- মতানৈক্য, দেউলিয়া, অসাধুতা, মৃত্যু, মস্তিষ্ক বিকৃতি ইত্যাদির কারণে অংশীদারি ব্যবসায়ের অবসান ঘটতে পারে। ফলে এ ধরনের ব্যবসায়ের স্থায়িত্ব অনিশ্চিতের কুয়াশায় নিমজ্জিত থাকে। পূর্ণ বিশ্বাসের অভাব অংশীদারি ব্যবসায়ের জন্য যে সততা, বিশ্বাস ইত্যাদির প্রয়োজন তা বর্তমান সমাজে বিরল। চরম বিশ্বাসের অভাবেই মূলত এরূপ ব্যবসায়ের অকাল পতন ঘটে।

৩. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধাঃ- অনেক সময় ব্যবসায়ের প্রয়োজনে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দরকার হয়। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতিতে অংশীদারগণকে একত্রে না পাওয়া গেলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা দেখা দেয়।

৪. স্বত্ব হস্তান্তরের অসুবিধাঃ- কোনো অংশীদার অপরাপর অংশীদারগণের সম্মতি ব্যতীত ব্যবসায়ের অংশ অন্য কারও নিকট বিক্রয় করতে পারে না।

৫. অসম মুনাফা বণ্টনঃ- অংশীদারি ব্যবসায়ে কোনো অংশীদার মূলধন সরবরাহ না করেই অনেক সময় মুনাফা পেয়ে থাকে। এতে মূলধন সরবরাহকারী অংশীদারের মনোবল নষ্ট হয়ে যায়।

৬.গোপনীয়তার অভাবঃ- অংশীদারি সংগঠন একাধিক সদস্যের সংগঠন বিধায় এতে গোপনীয়তার অভাব পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে সাধারণত যা ঘটে তা হলো কোনো একজন বা দু জন সদস্য ব্যক্তিস্বার্থে অন্যান্য সদস্যদের সাথে বেঈমানি করে কোম্পানির গোপন তথ্য প্রতিযোগিদের নিকট ফাঁস করে দেয়।

৭. সমঝোতার অভাবঃ- অংশীদারি সংগঠনের মূলভিত্তি চরম বিশ্বাস এবং সততা হলেও অনেক সময় সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সমঝোতার অভাবে সংগঠন ধ্বংস হয়ে যায়। তদুপরি সদস্যদের মধ্যে প্রায় বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যায়। ফলে একসময় সমঝোতা ও বিশ্বাসের অভাবে সংগঠনের অবসান হয়। অর্থাৎ সমমান লোকের অভাবে প্রতিষ্ঠান ভেঙে যায়।

  • উপসংহারঃ- অংশীদারি ব্যবসায়ে অনেকগুলো সুবিধা পরিলক্ষিত হলেও এর এমন কিছু অসুবিধা বিদ্যমান যার কারণে অদ্যাবধি এটি তেমন কার্যকরী ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠে নি। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মূলধনের অভাবে বৃহদায়তন ব্যবসায় গড়ে উঠতে পারে না বিধায় মাঝারি আয়তনের অংশীদারি ব্যবসায় গড়ে।


প্রশ্ন- অংশীদারি চুক্তি কাকে বলে? নাবালক অংশীদার হতে পারে কি-না আলোচনা কর।


উত্তরঃ-

 অংশীদারি চুক্তিঃ- অংশীদারি চুক্তি মৌখিক অথবা লিখিত হতে পারে। তবে ভবিষ্যৎ বিবাদের ও ভুল বুঝাবুঝির মীমাংসার জন্যে চুক্তি লিখিত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কেননা মৌখিক চুক্তি আইনের চোখে মূল্যহীন। এমনকি কোনো সময় অংশীদারদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দিলে মৌখিক চুক্তির দ্বারা সমস্যার মীমাংসা করা সম্ভব হয় না। তাই চুক্তি লিখিত হওয়াই উত্তম। সুতরাং বলা যায়, দুই বা ততোধিক ব্যক্তি অংশীদারি ব্যবসায় গঠনের জন্য যে লিখিত সম্মতি আপন করে তাকে লিখিত চুক্তি বলে। চুক্তিপত্র লিখিত এবং নিবন্ধিত হতে পারে। আবার উভয়ও হতে পারে। তবে এটি লিখিত, দস্তখতকৃত এবং নিবন্ধিত হওয়াই উচিত। কেননা অংশীদারিত্ব আইনের দ্বারা সৃষ্ট নয়, চুক্তি হতে সৃষ্টি হয়। তাই অংশীদারদের ভবিষ্যৎ স্বার্থ রক্ষার্থে এবং তাদের মধ্যে লাভ- লোকসান বণ্টন, পরিচালনা অথবা অন্য যেকোনো সম্ভাব্য বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝির হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্যে চুক্তিপত্র লিখিত ও নিবন্ধিত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। অংশীদারদের মধ্যকার গঠনকালীন বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বিশ্বাস ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে। তখন চুক্তিপত্র মীমাংসার প্রধান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক হ্যানি বলেন, " The partnerships of fellow travellers are an example of the difficulty in men living together & having things in common, for they generally fall out by the way and quarrel about any trifle which turns up. " এবং বাস্তবে ঘটেও তাই। কেননা আদালতে নিবন্ধিত চুক্তিপত্রই প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

নাবালক অংশীদারঃ- ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী নাবালক কোনো ব্যবসায়ের অংশীদার না হতে পারলেও সে অন্যান্য অংশীদারদের সম্মতিক্রমে ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করে মুনাফা ভোগ করতে পারে। কিন্তু কোনো প্রকারেই তাকে ফার্মের দায়দায়িত্বের জন্যে দায়ী করা যায় না। কেবল ফার্মে দেয় তার মূলধনের অংশ পরিমাণ দায়ের জন্যেই তাকে দায়ী করা যায়, অতিরিক্ত কিছুর জন্যে তাকে দায়ী করা যায় না। এমনকি তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিও এ দায় হতে মুক্ত। কিন্তু যখন সে সাবালক হবে তখনই সে ফার্মের সবকিছুর জন্যে দায়ী হবে। অবশ্য সাবালক হওয়ার ৬ (ছয়) মাসের মধ্যেই তাকে চুক্তিপত্রে দস্তখত দিতে হবে। এমনকি তখন নাবালক অবস্থায় যে দিন হতে সে ফার্মের অংশীদাররূপে গণ্য হয়েছিল, সে সময়কার দায় এবং কার্যকলাপের জন্যেও তখন তাকে দায়ী করা যাবে।


নাবালকের অধিকারঃ- চুক্তিভুক্ত পক্ষ হওয়ার অযোগ্যতা সত্ত্বেও অংশীদারি আইন অনুযায়ী একজন নাবালক অংশীদারি ফার্মে নিচের অধিকারগুলো ভোগ করেঃ

১.সে ব্যবসায় হতে সকল প্রকার মুনাফার অংশ পাওয়ার ও উত্তোলনের অধিকারী।

২.ব্যবসায় হতে সম্পদের অংশ পেতে ও উত্তোলন করতে পারে।

৩. সে ফার্মের হিসাব দেখা, পরীক্ষা ও গ্রহণ এবং এ বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে পারে।

8. ফার্ম হতে নিজ স্বার্থ আদায়ের জন্যে প্রতিনিধির মাধ্যমে মামলা করতে পারে।

৫. সাবালকত্ব প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সে পূর্ণাঙ্গ অংশীদার হতে পারে, অথবা ফার্মের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে।

৬. সে ফার্মের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্যে মামলা করতে পারে।


নাবালকের দায়ঃ- অংশীদারি ফার্মের কাজের জন্য একজন নাবালককে ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ করা না গেলেও, নিম্নোক্তভাবে তাকে দায়ী করা যেতে পারেঃ

১. প্রতিষ্ঠানের দায়ের জন্যে ব্যবসায়ে রক্ষিত তার মুনাফা ও সম্পদের অংশ দায়বদ্ধ হয়।

২. অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের দেউলিয়াত্বের কারণে ব্যবসায়ে নাবালকের অংশমতো সম্পত্তি সরকারি তত্ত্বাবধায়কের হাতে নাস্ত হতে পারে।

৩. সাবালকত্ব প্রাপ্তির পর পূর্ণাঙ্গ অংশীদার হলে ফার্ম হতে সুবিধা ভোগের তারিখ হতে তাকে তৃতীয় পক্ষের সকল প্রকার দায়ের জন্যে দায়বদ্ধ করা যাবে।

Ask2Ans এ আপনাকে সুস্বাগতম, এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং Ask2An অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পাবেন। এখান থেকে যেমন আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন তেমনিই এটি ব্যবহার করে আপনার জ্ঞান দিয়ে অপরকে সহায়তা করতে পারবেন। জ্ঞানার্জনের অন্যতম বাংলা প্লাটফর্ম হলো Ask2Ans, আমাদের সাথে থাকুন জ্ঞানঅর্জন করুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 53 বার প্রদর্শিত
14 জানুয়ারি "ব্যবসা-বাণিজ্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 93 বার প্রদর্শিত
0 টি ভোট
1 উত্তর 67 বার প্রদর্শিত
02 ফেব্রুয়ারি "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 70 বার প্রদর্শিত
02 ডিসেম্বর 2023 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasib (569 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 48 বার প্রদর্শিত
21 নভেম্বর 2023 "ব্যবসা-বাণিজ্য" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (525 পয়েন্ট)
...