হলস্টিন-ফ্রিজিয়ান সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য-
১. এ জাতের গরুর গায়ের রং সাদা কালো বা কালো হয়।
২. এরা দেশী গরুর থেকে আকারে বড় হয়।
৩. একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গাভীর ওজন ৩০০-৪০০ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৫০০-৬০০ কেজি হয়ে থাকে।
৪. দেশী গাভী হতে এরা অনেক বেশি দুধ দেয়। ৩০৫ দিনে একটি গাভী ১৫০০-২০০০ লিটার দুধ উৎপাদন করে । দুধে চর্বির পরিমাণ ৩.০-৪.০% হয়।
৫. এ জাতের গরু থেকে মাংস বেশি পাওয়া যায়।
৬. এ জাতের গরু দেশী গরুর চেয়ে আগে বয়োঃপ্রাপ্তি হয় এবং প্রথম বাচ্চা প্রদান করে। তবে বাচ্চা প্রসবের বিরতিকাল দীর্ঘ হয়।
৭. এদের রোগ প্রতিরোেধ ক্ষমতা দেশী গরুর চেয়ে কম।
জার্সি জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য-
১. এ জাতের গরুর গায়ের রং হালকা হলুদ হয়।
২. এরা দেশী গরুর থেকে আকারে বড় হয়।
৩. একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গাভীর ওজন ২০০-২৫০কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৩৫০-৫০০কেজি হয়ে থাকে।
৪. দেশী গাভী হতে এরা বেশি দুধ দেয়। ৩০৫ দিনে একটি গাভী ১২০০-১৫০০ লিটার দুধ উৎপাদন করে। দুধে চর্বির পরিমাণ ৪.০-৫.০% হয়।
৫. এ জাতের গরুর বয়ঃপ্রাপ্তিকাল দেশী গরুর চেয়ে আগে হয় এবং প্রথম বাচ্চাও আগে হয়। তবে বাচ্চা প্রসবের বিরতিকাল দীর্ঘ হয়।
৬. এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেশী গরুর থেকে কম।
ব্রাহমা সংকর জাতের গরুর বৈশিষ্ট্য-
১. এ জাতের গরুর গায়ের রং হালকা সাদা, ধূসর অথবা লাল হয়।
২. এরা দেশী গরুর থেকে আকারে বড় হয়।
৩. একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গাভীর ওজন ২০০-২৫০কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৩০০-৪৫০কেজি হয়ে থাকে।
৪. এদের দৈহিক প্রবৃদ্ধি দেশী গরুর চেয়ে অনেক বেশি। দৈনিক দৈহিক প্রবৃদ্ধি ৫৭০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।
৫. ছোট গাভীতে প্রস্ব বিঘ্ন ঘটে।
৬. এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেশী গরুর থেকে কম।